কিছুদিন আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ‘আর কবে’ গান শেয়ার করেছিলেন গায়ক অরিজিৎ সিং। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য, সেই সময় এই গান 'ন্যায়বিচারের আর্তনাদ, অসংখ্য নারীদের আওয়াজ', বার্তা ছিল গায়কের।
এবার ‘আর কবে’ গান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কণ্ঠে। কিন্তু অরিজিতের গানের লিরিক্স নয়, সম্পূর্ণ অন্য কথা ও সুরে ‘আর কবে’ গান উপস্থাপন করলেন এই রাজনীতিক। গানের শুরুতেই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমি গায়ক নই। লেখালেখি করি। কিছু গানের কথা লিখেছিলাম। দু’একজন গেয়েছিলেন। চলতি পরিস্থিতি একটা গান গাওয়ার চেষ্টা করলাম। পেশাদার গায়কদের মতো গুণগত মান বিচার করতে যাবেন না।’গানে গানে কুণালের বার্তা, ‘এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ুক স্লোগান ভরা মিছিল চাই, ঘড়ির সময় যাচ্ছে চলে বিচার দাও সিবিআই'। এখানেই শেষ নয়, কুণালের ‘আর কবে’-তে প্রশ্ন, হিন্দিতেও কবে প্রতিবাদী গান হবে? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে সুক্ষ্মভাবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কুণালের ‘আর কবে’ গান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-য়ের হাতে। ‘আর কবে’ গানের মধ্য দিয়ে কুণালের বার্তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও এই রাজনীতিকের দাবি, সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি এই গান বেঁধেছেন।
গত মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে সরাসরি 'আর কবে' গান ধরেছিলেন অরিজিৎ। গায়ক বলেছিলেন, 'সারা দেশের চিকিৎসকদের কণ্ঠস্বর এই গান, যাঁরা বিপদের মুখোমুখি হয়েও অক্লান্তভাবে সেবা করে যাচ্ছেন।' এই গানটিকে 'প্রতিবাদী ডাক' বলেছিলেন গায়ক। এরপরেই আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিল হোক বা অবস্থান বিক্ষোভ, অরিজিৎ সিংয়ের ‘আর কবে’ গানটি মুখে মুখে ফিরছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত ৩০ অগস্ট কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?' পোস্টে সুক্ষ্ম খোঁচা নজর এড়ায়নি ওয়াকিবহাল মহলের।
এই সমস্তকিছুর মধ্যেই কুণালের ধরা ‘আর কবে’ গান নিয়ে জোর চর্চা। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আর কবে শব্দটায় তো কারও কপি রাইট নেই। আমার গানের ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা।’ তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ওরা ভেঙে, কোন রাজ্যে কোন শাসক রয়েছে তা বাছবিচার না করে প্রতিবাদ হবে, আমি সেই প্রশ্নই করেছি রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে।’