• পরেশের ইলিশ উৎসব নিয়ে প্রশ্ন জোড়াফুলেই, গরহাজির অনেকে
    এই সময় | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদে ‘জাস্টিস’ চেয়ে উত্তাল মহানগরী। এই আবহে রবিবার কাঁকুরগাছিতে ‘ইলিশ উৎসব’-এর আয়োজন করে বিতর্কে জড়ালেন পরেশ পাল। বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের এই উৎসবের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন জোড়াফুল শিবিরেরই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।উৎসবে আমন্ত্রিত থাকলেও সেখানে যাননি কুণাল। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শশী পাঁজা, তিনিও যাননি। শুধু ইলিশ উৎসবের আয়োজনই নয়, এর প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়ে পরেশ ইলিশ উৎসবের প্রচারে মমতা-অভিষেকের ছবি ব্যবহার করেছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    বস্তুত, এই উৎসবের কার্ডে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীর ছবি ছিল। কিন্তু অধিকাংশই উপস্থিত হননি। তবে উত্তর কলকাতার দুই বিধায়ক সেখানে হাজির ছিলেন। পরেশের এই আয়োজন প্রসঙ্গে রবিবার কুণাল বলেন, ‘কোনও সুস্থ লোক এই উৎসবে যাবে না। এই সময়ে কেউ এ সব করে? একদিকে খাবারের বিলাস, অন্যদিকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস — এটা হতে পারে না। এ বছর এই সময়ে ইলিশ উৎসব রুচির পরিচয় নয়।’

    অনুষ্ঠানের গেটে কুণালেরও ছবি দেওয়া হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের বলে তা সরিয়ে দেন প্রাক্তন সাংসদ। কুণালের কথায়, ‘উদ্যোক্তারা একটি গেট করেছিলেন, সেখানে আমার ছবি দেওয়া হয়েছিল। আমি বলে সেটি খুলিয়ে দিই। এর সঙ্গে জড়িত থাকতে চাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে ইলিশ মাছের ছবি যেতে পারে না। তাঁরা ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেননি।’

    কুণাল ইলিশ উৎসবের বিরোধিতা করায় পরেশ এ দিন প্রথমে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারও বাড়িতে কি বিয়ে হবে না? অন্নপ্রাশন হবে না? কুণাল ঘোষ কত বড় লিডার!’ পরেশের এই মন্তব্য কানে পৌঁছতেই কুণাল পাল্টা বলেন, ‘পরেশ পাল বড় নেতা। (আমি) ছোট কর্মী বলেই এই আয়োজন সময়োচিত বলে মনে করি না। আমি ছোট কর্মী বলে গর্বিত। এই সময়ে রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান শিবির হতে পারে। কিন্তু ইলিশ উৎসব হতে পারে না।’

    কুণালের তোপের মুখে পড়ে পরেশ পরে বলেন, ‘কুণালদা যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন।’ শশী পাঁজাও সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই আবহে এ ধরনের উৎসব উচিত নয়। আমি যাইনি।’ তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ইলিশ উৎসবে না গেলেও বিরোধী-পক্ষ এ নিয়ে শাসক দলের সমালোচনা করেছে। মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, উৎসবের নেপথ্যে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমতি রয়েছে। যদিও এ কথা মানতে চায়নি তৃণমূল।
  • Link to this news (এই সময়)