• চাকরি দেওয়ার নামে দলের নেতারই প্রতারণার শিকার, সব হারিয়ে আত্মঘাতীয় TMC নেতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নিয়ে দলেরই নেতাকে প্রতারণার অভিযোগ। শেষে চাকরি না হওয়ায় আত্মঘাতী হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ঘটনা বাঁকুড়ার কোতুলপুরের। নিহত ধর্মদাস মণ্ডলের স্ত্রী রূপাদেবী কোতুলপুর দেশড়া - কোয়ালপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান ছিলেন। অভিযোগ কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০১৭ সালে ২০ লক্ষ টাকা দেন তিনি। ধর্মদাসবাবু অত্মঘাতী হতেই সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের ছেলে। ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া অভিযুক্ত।

    মৃতের পরিবারের দাবি, দলীয় সূত্রে সন্দীপবাবুর সঙ্গে পরিচয় ছিল রূপা মণ্ডল ও ধর্মদাসবাবুর। ২০১৭ সালে সন্দীপবাবু তাঁদের জানান, দলের ওপরতলার নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে বেশ কয়েকটি সরকারি চাকরি দেওয়ার সুযোগ তাঁর হাতে রয়েছে। কিন্তু সেজন্য মোটা টাকা দরকার। সন্দীপবাবুর প্রস্তাবে রাজি হয়ে পরিবারের সদস্য ও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ছেলেসহ ৩ আত্মীয়ের চাকরির জন্য সন্দীপবাবুকে ২০ লক্ষ টাকা দেন ধর্মদাসবাবু। তখন তাঁর স্ত্রী রূপাদেবী পঞ্চায়েত প্রধান। ২০১৮ সালে কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হন সন্দীপবাবু। 

    ওদিকে রূপাদেবীর পঞ্চায়েত প্রধানের পদ চলে যায়। অভিযোগ এর পরই ধর্মদাসবাবুকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন সন্দীপবাবু। তবুও আশা ছাড়েননি তিনি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর চাকরির আশা ছেড়ে টাকা ফেরতের দাবি জানান ধর্মদাস মণ্ডল। প্রথমে টাকা ফেরানোর আশ্বাস দিলেও পরে সন্দীপবাবু হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। ওদিকে ধর্মদাসবাবুর ওপর ঋণ শোধের জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে জমি বিক্রি করে ঋণ শোধ করতে হয় ধর্মদাসবাবুকে। তার ওপর সন্দীপবাবুর থেকে আসতে থাকে লাগাতার হুমকি। সব মিলিয়ে ক্রমশ অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ওই তৃণমূল নেতা। এর জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।

    বাবার মৃত্যুর পর সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে। এর পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। ঘটনায় মুখ ‘লিউকোপ্লাস্টার’ লাগিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)