• হাতে গোলাপ, জাতীয় পতাকা, লালবাজার অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকরা, আটকে দিল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • লালবাজার অভিযানে জুনিয়র ডাক্তাররা।  হাতে লালগোলাপ। হাতে রজনীগন্ধার মালা। সেই ফুল নিয়ে তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন লালবাজারের দিকে। এদিকে পথে বউবাজারের কাছে তাদের আটকে দেওয়া হয় বলে খবর। মিছিল থেকে উঠল আওয়াজ বিনীত গোয়েল হায় হায়। দাহ করা হল কুশপুতুল। সেই সঙ্গেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আটকাতে বিরাট ব্যারিকেড করা হয়েছে লালবাজার যাওয়ার রাস্তায়। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। 

    গোটা এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিরাট পুলিশ  বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। এদিকে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি করা হচ্ছে এলাকায়। একেবারে নিরস্ত্র জুনিয়র চিকিৎসকদের আটকাতে যেভাবে পুলিশ এই ঘেরাটোপের ব্যবস্থা করেছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    এদিকে অনেকের মতে, গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে হামলা চালানো হয়েছিল। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের মঞ্চ। তখন সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি পুলিশ। আর সোমবার সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আটকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হল। গোটা এলাকায় একেবারে থিকথিক করছে পুলিশ। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের হাতে ফুল। কিন্তু সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আটকাতে যে তৎপরতা দেখাল তা অভূতপূর্ব। 

    আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আমরা লালবাজারে যাবই। আমাদের শিরদাঁড়ার জোর আছে। আমরা যাবই। তবে লালবাজার থেকে অনেকটা আগেই আটকে দেওয়া হয় এই মিছিল। কিন্তু দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো পুলিশের ব্যারিকেড টপকে কীভাবে এগিয়ে যাবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। ফিয়ার্স লেনে থমকে গিয়েছে মিছিল। 

    তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে। আমাদের নির্দিষ্ট দাবি আছে। আমাদের অবস্থান চলতে থাকবে। আমাদের দফা এক দাবি এক বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। 

    এদিন কামদুনির দুই প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী  ও টুম্পাও এই অভিযানে শামিল হন। তাঁরা বলেন, আমরাও চাই জাস্টিস। আমরা দেখেছি কামদুনির পরে একাধিক ঘটনা হয়েছে। কিন্তু ন্যায় বিচার মেলেনি। আমাদের রাজ্যে ধর্ষণের মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। টুম্পা কয়াল বলেন, এই বিনীত গোয়েলের জন্যই কামদুনির ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের প্রশাসন এই ধর্ষকের জন্ম দিচ্ছে। জাস্টিস ফর আরজি কর আর কামদুনি।

    আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। গত ১৪ অগস্ট যখন আরজি করে ভাঙচুর করা হল তখন পুলিশ কোথায় ছিল? আমরা চাই পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।  বলেন এক জুনিয়র চিকিৎসক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)