• এভাবে চললে তো পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করবে!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের আগের রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ৪ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেফতারির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল হাওড়া সিটি পুলিশ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিসের পদক্ষেপে চরম বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিচারপতির মন্তব্য, এই ভাবে চলতে থাকলে তো পুলিশ যখন খুশি যাকে খুশি গ্রেফতার করে নিজের মর্জি মতো থানা থেকে ছেড়েও দেবে!

    গত ২৬ অগাস্ট গভীর রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান নবান্ন অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা ৪ ছাত্র। পরদিন এক ছাত্রের বাবা ছেলের সন্ধান চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে পুলিশের তরফে জানানো হয়, তাদের ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও সেদিনই তাদের থানা থেকেই জামিনে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই ৪ ছাত্র। সেই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি ভরদ্বাজের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ।

    এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, অভিযুক্তরা গণ্ডগোল পাকাতে পারে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    একথা শুনে বিচারপতি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে। কার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই কাজ করেছে? আর খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করে অভিযুক্তদের থানা থেকে জামিন দেওয়ার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল না। তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে নিজে থেকে এরকম গুরুতর ধারা প্রয়োগ করতে গেল পুলিশ? আর যদি অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য মনে না হয় তাহলে কেন তাদের ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখল পুলিশ? এভাবে চললে তো পুলিশ যখন খুশি যাকে খুশি গ্রেফতার করবে, তার পর থানা থেকেই জামিন দিয়ে দেবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)