‘আগামী রাতে তোমরা টিভিতে জেগো, আমরা পথে জাগব’, স্বস্তিকা-বিদীপ্তাদের বললেন কৌশিক-চূর্ণী
আনন্দবাজার | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রবিবার মধ্যরাতে আবারও পথে জনতা। তাঁদের সঙ্গে রাত জাগল টলিউডও। বিকেল থেকে মহামিছিলে পা মেলানোর পর বিনিদ্র রজনী কেটেছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, মধুরিমা গোস্বামী-সহ টলিউডের একাংশের। তাঁদের কুর্নিশ জানিয়ে সমাজমাধ্যমে বার্তা দিলেন পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। লিখেছেন, “রাতের ধর্মতলা আজ টিভির পর্দা হয়ে সবার বসার ঘরে প্রবেশ করেছে। আগামী রাতে তোমরা টিভিতে জেগো, আমরা পথে জাগব। দীর্ঘ পথ, চলো ভাগাভাগি করে জেগে থাকি যত ক্ষণ সুবিচার না পাই।” অর্থাৎ, আগামী দিনে রাতের কলকাতা প্রয়োজনে পথে পাবে কৌশিক-চূর্ণী-উজান গঙ্গোপাধ্যায়কে?
প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত কৌশিক। তাঁর হয়ে কথা বলেছেন পরিচালক-অভিনেত্রী চূর্ণী। তাঁর কথায়, “সদ্য মাতৃহারা কৌশিক। সে কারণে ইচ্ছে থাকলেও আমরা পথে নামতে পারছি না। কিন্তু মন পড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দিকে। আমরা শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থাকতে পারলেও, মানসিক দিক থেকে উপস্থিত প্রত্যেক মুহূর্তে।” এ-ও জানিয়েছেন, পরিবারিক কারণে এখনই পথে নামতে পারছে না গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। তার জন্য প্রত্যেকের কাছে তাঁরা সময় চেয়ে নিচ্ছেন। কিছু দিনের মধ্যেই ফের শহর এবং শহরবাসী পথে পাবেন তাঁদের। মধ্যরাত দখলের কার্যক্রমেও থাকবেন। সে কথা কৌশিক সমাজমাধ্যমেও লিখেছেন, “আগেও থেকেছি, আগামীতেও আমরা তোমাদের পথে আছি। আমার ডিরেক্টরিয়াল টিমের অনেকেই আজ ওখানে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পারিবারিক পরিস্থিতিতে আমরা আজ রাতভর থাকতে পারলাম না। তবে ঘুমোতেও তো পারছি না!”
এই প্রসঙ্গে চূর্ণী বলেছেন, “এখনও আন্দোলনে শামিল না হলে আর কবে হব! এই অনুভূতি থেকেই আমরা ১৪ অগস্ট সপরিবার রাত দখলে নেমেছিলাম। কৌশিকের মায়ের মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে দেরি হচ্ছিল বলে আমরা অল্প সময়ের জন্য টলিউডের প্রতিবাদী মিছিলে উপস্থিত ছিলাম। তেমন ভাবেই আবারও আমাদের পাবেন সকলে।” বার্তায় কৌশিক রবিবারের রাত দখলের জন্য প্রশংসা করেছেন টলিউডের খ্যাতনামীদের। তাঁর লেখা, “একটি দেবীমূর্তির পূজা করে আমরা বিশ্বনারী শক্তির আরাধনা করি। আজ তেমনি জনস্রোতের মাঝে মধ্যরাতে আমাদের গর্বিত করে গায়িকা, অভিনেত্রী ও অন্য অগুন্তি মহিলারা “শক্তিরূপেণ” হয়ে বসে রইলেন পথে। পাশে থাকলেন যে সব ভাই, তাঁদেরও অভিনন্দন। অনেক পরিচিত ও অপরিচিতের নিষ্ঠা ও জেদকে আমার ভালোবাসা। স্বস্তিকা, অপরাজিতা, চৈতি, লগ্নজিতা,সুদীপ্তা, বিদীপ্তা, দেবলীনা, উষসী, সোহিনী ও অন্যদের মেরুদণ্ড ও প্রতিজ্ঞাকে আন্তরিক প্রণাম।” (সমাজমাধ্যমে সেই ব্যক্তির লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল)