গত ১৬ অগস্ট থেকে মোট ১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘোষ। খবরটি প্রচারিত হওয়ার সময় লালবাজার থেকে কিছুটা দূরেই রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সন্দীপের গ্রেপ্তারির খবর পেতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সকলেই। এটা ‘আংশিক জয়’ বলে দাবি করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের অপসারণের দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। আরজি কর থেকে তাঁকে বদলি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এরপরে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভের পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে কোর্টের নির্দেশে ছুটি যান সন্দীপ। মাঝের কিছুদিন রোজই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হয়েছে সন্দীপকে। এরপর আজ, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার সন্দীপ। খবরটি শোনা মাত্রই উল্লাস দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, ‘আর্থিক দুর্নীতির যে অভিযোগ ছিল, তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরজি করে চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে যে কাজকর্ম চলতো, সেই জায়গা থেকে এই গ্রেপ্তারি আমাদের আন্দোলনের আংশিক জয় বলে আমরা মনে করি। এর জন্য আরজি করে ছাত্র-ছাত্রী, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের সকল ডাক্তারি পড়ুয়া, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগগুলি উঠছিল। এমনকী, চিকিৎসক খুনের ঘটনার পর নির্যাতিতার বাড়িতে কেন আত্মহত্যার কথা জানানো হল, বিষয়টিকে চাপা দেওয়া হচ্ছিল কিনা, যে সেমিনার হলে দেহ উদ্ধার হয়, তার কাছেই একটি ঘর কেন ভাঙা হয়, সে বিষয়ে না প্রশ্ন ওঠে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের সন্দেহের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ।