‘সহানুভূতিশীল হতে হবে’, ‘কটু কথা’ না বলার পরামর্শ অভিষেকের
এই সময় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, আইনজীবী, তারকারা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। সেই ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেক তৃণমূল নেতা-জনপ্রতিনিধিরা ‘বিতর্কিত’ কথা বলে ফেলছেন। নাগরিক সমাজের উদ্দেশে কটু কথা না বলার জন্য এ বার আবেদন জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ‘দলীয় গণ্ডি ছাড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমি তৃণমূলের সকলকে অনুরোধ করছি, চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের উদ্দেশে কটু কথা না বলার জন্য। প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ করার এবং নিজের মত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।’ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটা কাম্য নয় বলেই তিনি মনে করেন। অভিষেকের কথায়, ‘এটাই পশ্চিমবঙ্গকে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে আলাদা করেছে। আমরা বুলডোজার মডেল এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের কৌশলের বিরুদ্ধে আন্তরিক ভাবে লড়াই করেছি।’
পাশাপশি, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনার ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন। ওই পোস্টে অভিষেক লেখেন, ‘এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করার এখনই সময়। বাংলাকে অবশ্যই এই লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে এবং যতক্ষণ না অপরাধীদের শাস্তি হয় এবং রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার উভয়ের দ্বারা একটি ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই থামবে না।’
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার থেকে শুরু করে বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, সম্প্রতি অশোকনগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অতীশ সরকারের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হয়।
এর মধ্যে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। বিতর্কের মাঝেই তৃণমূল নেতা অতীশ সরকারের মন্তব্য নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। ‘মা-বোনেদের ছবি বিকৃত করে টাঙিয়ে’ দেওয়ার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দল থেকে ইতিমধ্যে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী দিনে আরজি কর ইস্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা যাতে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য না করেন, সে ব্যাপারে লাগাম টানতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বার্তা দিলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।