আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার, কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত সন্দীপ?
এই সময় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। চিকিৎসক হত্যার ঘটনা নয়, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার পাশপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই।সিবিআই সূত্রে খবর, রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০(প্রতারণা) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় সন্দীপকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেহেতু পুরোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর করা হয়েছে তাই এক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করে সিবিআই। সিবিআইয়ের FIR-এ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি কর্মীর ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ ও চিটিং-এর উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা না হলেও পরবর্তীতে তাঁকে সেই মামলাতেও যুক্ত করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতেই দুর্নীতির মামলার তদন্ত ভার আদালত সিবিআইকে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ নিয়ে সরব ছিলেন আখতার আলি। বেআইনিভাবে বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি, টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক, অফিসারদের বদলি, কোটি কোটি টাকা সরকারি অর্থের অপচয়-সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছিল সন্দীপের বিরুদ্ধে।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তদন্ত ভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট সন্দীপকে প্রথম জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। যদিও, তিনি সেদিন হাজিরা দেননি। পরদিন সল্টলেকে মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে সিজিওতে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর থেকে আজ, সোমবার পর্যন্ত মোট ১৬ দিন সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েন সন্দীপ ঘোষ।