• ‘তখন পদক্ষেপ নিলে…’ 'পাওয়ারফুল' সন্দীপ গ্রেফতার হতেই অন্য সুরে কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আগেই মুখ্য়মন্ত্রীর দরবারে অভিযোগ করা হয়েছিল, যে সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর কাণ্ডের পরে ন্যাশানাল মেডিক্যালের অধ্য়ক্ষের পদ দিয়েছিল সরকার সেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

    এবার সেই সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার নিয়ে যাঁরা প্রতিক্রিয়া চাইছেন তদন্ত সিবিআই করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়টি সন্দীপ ও তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই।’ লিখেছেন কুণাল। সেই সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারল স্বাস্থ্যভবন।’

    লিখেছেন কুণাল ঘোষ। এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের জবাবে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, আপনার বিবৃতি কেউ শুনতে চাইনি। কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীর বিবৃতি আমরা শুনতে চাই। কারণ তার কোলের ছেলে এই সন্দীপ ঘোষ এবং সন্দীপ ঘোষকে বাঁচিয়ে রেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    কুণালের পোস্টের উত্তরে এক নেটিজেন লিখেছেন, সিবিআই কি ঘোষ আর ব্যানার্জির মধ্য়ে নেক্সাসটা সম্পর্কে জানাতে পারবে?

    অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, এত বড় হত্যাকাণ্ড যখন আরজি করে হয়েছিল তার পরের দিন সকালে কেন সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হল না? তিনি ছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষ। তাকেই তো প্রথম জেরা করা দরকার ছিল।

    তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীদের একাংশের দাবি ডাঃ সন্দীপ ঘোষ ছিলেন আগাগোড়া ভীষণ দুর্নীতিগ্রস্ত একজন আধিকারিক। এখানেই প্রশ্ন কেন এত দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তাঁকে পদে বহাল রাখার জন্য এত উৎসাহ সরকারের?

    সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতারি আলি জানিয়েছেন, 'তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। আরজিকর মেডিক্যাল ফেল করানো, টেন্ডার থেকে কমিশন নেওয়া, হস্টেল থেকে টাকা নেওয়া, পয়সা খাওয়া, গেস্ট হাউজে স্টুডেন্টদের নিয়ে মদ খাওয়া, আবার তাদের দিয়েই আন্দোলনে নামানো সবটা করান ওই মানুষটি। পুরো কেরিয়ারে এমন বাজে লোক কোনও দিন দেখিনি। ওর নিরাপত্তায় ছিলেন ২০জন। চারজন বাউন্সার ছিলেন। ফিল্ম স্টারদের দেখতাম বাউন্সার নিয়ে চলতেন। কিন্তু কোনও প্রিন্সিপালকে এভাবে বাউন্সার নিয়ে চলত দেখিনি। প্রচন্ড প্রভাবশালী মানুষ। আমি ২০২৩ সালের তাঁর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্সে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাঁর বদলি হয়েছিল। তারপরে আবার সেই অর্ডার বদলে গেল। সব নাটক ওনার। তিনি আবার পেটোয়া স্টুডেন্টদের দিয়ে আন্দোলন করান। এর আগে তিনি একটা বিষয়ে এক মাস ধরে আন্দোলন করিয়েছিলেন। এগুলো সব তার আইওয়াশ। তিনি আবার ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে গেলেন। তবে আমি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। '

    আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই পড়ুয়া এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের রোষের মুখে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে সেই সন্দীপকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরপরই সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করা হয়। তবে হাই কোর্ট সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যেতে বলেছিল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)