• সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল CBI, রাতে আর ফিরতে হবে না RG করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তবে সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই খবর পৌঁছানোর পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযানের মধ্যেই এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘যেটা পুলিশ করতে পারেনি, সেটা সিবিআই করে দেখিয়েছে।’ অপর একজন বলেন, ‘তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করল। অথচ এখনও স্বাস্থ্যভবন থেকে অপসারণ করা হয়নি।’

    তবে সন্দীপকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে আন্দোলন থামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অপর এক চিকিৎসক। ফিয়ার্স লেনে ধরনায় বসে থাকা এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতির মামলায় স্যারকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। তাই দিদির ঘটনায় যাঁরা আসল দোষী, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।’

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে সন্দীপকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রতিদিন সিজিও কমপ্লেক্সে আসতেন সন্দীপ। তারপর রাতে বা গভীর রাতে বাড়ি ফিরে যেতেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তারইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

    সেই আবহেই আজ ১৬ তম দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। তারপর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হয়। গাড়ির পিছনের সিটের মাঝখানে বসানো হয় সন্দীপকে। দু'পাশে দুই সিবিআই আধিকারিক ছিলেন। সেই ছবি দেখেই কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছিল যে তাহলে কি আজ রাতে আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না? সিবিআইয়ের হেফাজতে মঙ্গলবার সকাল হবে সন্দীপের? 

    আর সেই কানাঘুষো সত্যি হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সন্দীপকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়। আর তারপরই আসে সেই ‘খবর’ - মঙ্গলবার সকালটা সিবিআই হেফাজতেই হবে সন্দীপের। সূত্রের খবর, তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। আর যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিতে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যে পুলিশ সন্দীপের একবারও বয়ান রেকর্ড করেনি বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)