• সন্দীপের ২ সহযোগী এবং দেহরক্ষীও গ্রেফতার, দোষ প্রমাণ হলে কী সাজা হতে পারে?
    আজ তক | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • দুর্নীতি মামলায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সন্দীপ ছাড়াও আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা ও আফসার আলি খান। আফসার সন্দীপের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিনহা সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, তাঁরা মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দুটি বাড়িতেই তল্লাশি চালায় সিবিআই। হাজরা মেডিক্যাল শপ নামে সুমন হাজরার ওষুধের দোকানেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বিপ্লব সিনহা মা তারা ট্রেডার্সের মালিকও। মা তারা ট্রেডার্সের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    সোমবারও সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সের বদলে ডাকা হয় নিজাম প্যালেসে। তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি হাইকোর্টে আবেদনও করেন। সেই মামলা দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। তারপর সেই দুর্নীতি নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৫ অগাস্ট সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। সেদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে আদালত। আদালতের অনুমতিতেই সন্দীপ ঘোষের পরিলগ্রাফ টেস্টও করানো হয়।

    সিবিআই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের মামলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৭ নম্বর ধারা-সহ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা ও অসৎ উপায় অবলম্বনের অভিযোগ দায়ের করেছে। মামলাগুলির বেশিরভাগই জামিন অযোগ্য।

    কোন ধারায় কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে তা জানুন

    IPC-এর 120B ধারা- ভারতীয় দণ্ডবিধির 120B ধারা একত্রে কোনও অপরাধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করার জন্য আরোপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই অপরাধ করবে এমন নয়। তিনিও এ ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশীদার হতে পারেন।

    শাস্তি- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ২ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড।

    IPC-এর 420 ধারা- যারা প্রতারণা, প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি অর্জন করে তাদের বিরুদ্ধে এই ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) কার্যকর হয়েছে, তাই 420 এর পরিবর্তে 318 ধারা ব্যবহার করা হচ্ছে।

    শাস্তি- সাত বছরের বেশি নয় মেয়াদের জন্য কারাদণ্ড এবং জরিমানা।

    দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৭ ধারা-এই ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয় যখন একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী পারিশ্রমিক ব্যতীত অন্য পথে অর্থ উপার্জন করেন।

    শাস্তি- ৬ মাস থেকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা
  • Link to this news (আজ তক)