• ফার্মের পোল্ট্রির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে নদীর ধারে, দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায় ও জলে
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: কাশীপুর ব্লকের কালীদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছেলিয়াতে একটি ডিম উৎপাদনকারী বিশাল পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। সেই ফার্মের পোল্ট্রির বিষ্ঠা গ্রামের অদূরে জোড়ের (ছোট নদীর) ধারে ফাঁকা মাঠে ফেলা হচ্ছে। আবার মাঠটি গ্রামীণ সড়কের পাশে অবস্থিত। ফেলে দেওয়া সেই বিষ্ঠা বৃষ্টির জলে গলে সরাসরি জোড়ের জলে মিশছে। যার ফলে এলাকায় দূষণ ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার ধারে ফাঁকা মাঠে বিষ্ঠা ফেলার জন্য এলাকা দুর্গন্ধময় হয়ে উঠছে। পোল্ট্রির সেই বিষ্ঠার দূষণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। বর্তমানে দূষণের মাত্রা এতটাই তীব্র যে, রাস্তা দিয়ে পার হওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা ফার্ম কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন।

    বিষয়টি নিয়ে কালীদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মীনারায়ণ মান্ডি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ফার্ম কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তারা বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না করলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, কাশীপুর ব্লকের শেষ সীমানা কালীদহ গ্রাম পঞ্চায়েত। বর্তমানে সেই পঞ্চায়েতের ছেলিয়া গ্রামের কাছে একটি বিশাল পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে উঠেছে। সেখানে ডিম উৎপাদন করা হয়। সেই ফার্মে এলাকার কমবেশি শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। সেই ফার্মের পোল্ট্রির বিষ্ঠা বর্তমানে ফার্মের অদূরে একটি মাঠে ফেলা হচ্ছে। মাঠটি জোড়ের ধারে অবস্থিত। ফলে বর্ষার জলে সেই বিষ্ঠা গলে গিয়ে সরাসরি জলে পড়ছে। পাশাপাশি মাঠটি হুচুকপাড়া -ছেলিয়া গ্রামীণ সড়কের ধারে অবস্থিত। সড়কটি দিয়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যায়। গন্ধে সেখান দিয়ে যাওয়া দুঃসহ হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ।

    রাস্তা দিয়ে যাতাযাতকারী সুনীল টুডু, অশোক দাস বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ভেসে আসে। ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়। গন্ধে বমি চলে আসে।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ডিম উৎপাদনকারী কারখানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে এলাকায় দিন দিন দূষণ বেড়ে চলেছে।

    পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার বিকাশ সাঁতরা বলেন, পোল্ট্রির বিষ্ঠা অন্যান্য সময় সরাসরি ফার্ম থেকে গাড়িতে লোড হয়ে বাইরে চলে যায়। কিন্তু বর্ষায় প্যাকেটিং করা সম্ভব হয় না। তাই আপাতত একটি মাঠে জড়ো করে রাখা হচ্ছে। 

    শুকিয়ে গেলে বস্তায় ভর্তি করে বাইরে নিয়ে চলে যাওয়া হবে। আপাতত অসুবিধার জন্য তিনটি ফার্মের মধ্যে দুটি ফার্ম বন্ধ রয়েছে। একটি ফার্ম চালু রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিষ্ঠা যাতে ফাঁকা জায়গায় ফেলা যায়, তার জন্য জমি দেখার কাজ চলছে।

    বিষয়টি নিয়ে কাশীপুর বিডিও সুপ্রিম দাস বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ হলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)