• ধানতলায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বামী
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে রবিবারই গ্রেপ্তার করে ধানতলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম নির্মল দত্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, স্ত্রী তাকে কটূক্তি করেছিল, তা নিয়ে ঝামেলা হয়। সেই সময়ই সে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে। সোমবার এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিস। ধৃত খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিসের দাবি। এদিন তাকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, গত রবিবার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ার কুশুবেড়িয়া পশ্চিমপাড়ায় গৃহবধূ সুচিত্রা দত্তকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী নির্মল। পুলিস রাতেই তাকে দত্তপুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসকে সে জানিয়েছে, স্ত্রীকে ‘খুনের’ অভিসন্ধি নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়নি। নিজের একটি কাটারি ধার দেওয়ানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। কামারশালে যাতায়াতের পথেই পড়ে পশ্চিমপাড়া। সেখানেই বিগত কয়েক মাস ধরে তার স্ত্রী বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। পুলিসের দাবি, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। সেই রাগ থেকেই স্বামীকে রাস্তায় দেখে কটূক্তি করেন সুচিত্রা, যা নিয়ে রাগ সপ্তমে চড়ে নির্মলের। তবে সে ওই সময় কিছু করেনি। কামারশালে গিয়ে কাটারি ধার করিয়ে আনে। তারপর সোজা সে সুচিত্রার ভাড়া বাড়িতে ঢুকে যায়। নৃশংসভাবে কুপিয়ে সে স্ত্রীকে খুন করে। সোমবার রানাঘাট পুলিস জেলার অতিরিক্ত সুপার লাল্টু হালদার বলেন, আগে থেকেই দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। মানসিক দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় স্বামীকে ছেড়ে আলাদা ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকছিলেন সুচিত্রা। এদিকে অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই কাজের সুবাদে বাইরে থাকত। ফলে পরস্পরের প্রতি ছিল সন্দেহ। যত দিন গিয়েছে সেই সন্দেহের পরিমাণ ততই বেড়েছে। সম্প্রতি সুচিত্রা ঠিক করেছিলেন, নির্মলকে ডিভোর্স দিয়ে দেবেন। এরই মাঝে রবিবার ওই ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয় ওই যুবতীকে। রাতেই আমরা অভিযুক্তকে ধরতে সক্ষম হয়। • অভিযুক্ত নির্মল দত্ত। 

    খুনের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। যদিও বিষয়টিতে এখনও সিলমোহর দেয়নি পুলিস। পুলিসের দাবি, তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)