• চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, এক মাসে সদরে আক্রান্ত ১০
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাড়ি ফিরেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে একটি কেক ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। বাড়ি জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সানুপাড়ায়। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। তারপরই জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্ত পরীক্ষায় জানা যায় তিনি ডেঙ্গু পজিটিভ। ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রবিবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়েছে তাঁর। 

    আক্রান্ত রাজ লামার মা তারা লামার অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির পাশেই জমিতে জল জমে রয়েছে। বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খড়িয়া পঞ্চায়েতেই এনিয়ে সাতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। কাটা বাঁশের মধ্যেও জমে থাকছে জল। ওই জলে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা জন্মাতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোথাও কাটা বাঁশের মধ্যে যাতে জল জমতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাটি বা বালি দিয়ে ভরাট করতে হবে ওসব অংশ। 

    খড়িয়ার উপপ্রধান মনোজ ঘোষ বলেন, এবছর এখনও পর্যন্ত আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় সাতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেন। কোথাও যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। 

    এদিকে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র আগস্টে সদরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত সদরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। গোটা জলপাইগুড়ি জেলায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো ছুঁতে চলেছে। জেলার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সদরে। 

    জলপাইগুড়ি সদরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রীতম বসু বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় অলআউট ঝাঁপাচ্ছি আমরা। স্বাস্থ্যদপ্তরের টিম সারাক্ষণ ঘুরছে। মঙ্গলবার আমি নিজে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে খড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় যাব। 

    জেলাশাসক শমা পারভীন জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর প্রতিটি ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। নিয়মিত যেন ফলোআপ করা হয়, সে‌ই ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)