• কোচবিহারের মহিষবাথান বিদ্যাসাগর ক্লাব ও পাঠাগারের দুর্গাপুজোর থিম ‘সুন্দরবন’
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কোচবিহারের মহিষবাথান বিদ্যাসাগর ক্লাব ও পাঠাগারের দুর্গাপুজোর এবার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে দুর্গাপুজোয় এবার এদের থিম ‘সুন্দরবন’। মণ্ডপ এবং মণ্ডপ প্রাঙ্গণে একখণ্ড সুন্দরবনের চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। বাজেট ৬০ লক্ষ টাকা। বিশাল মণ্ডপ বানাচ্ছেন মেদিনীপুরের শিল্পীরা। পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের শিল্পী প্রতিমা তৈরি করছেন। চন্দননগরের আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে মণ্ডপ চত্বর। পুজো মণ্ডপে থিমের প্রতিমা শোভা পাবে। ক্লাবের স্থায়ী মন্দিরে হবে পুজো। তারজন্যে সাবেকি প্রতিমা বানানো হচ্ছে। 

    ১৯৬৩ সালে এখানে একটি কালী মন্দির ছিল। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময় মন্দির ভাঙতে হয়। পরবর্তীতে এখানে মাকালী ও শীতলার পঞ্চবটী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। ক্লাবের সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, এবার আমাদের ক্লাবের থিম সুন্দরবন। পুজো মণ্ডপের কাজ চলছে। একখণ্ড সুন্দরবনের দৃশ্য মণ্ডপের সামনে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সুরজিৎ দত্ত বলেন, আমাদের পুজোর বাজেট এবারে ৬০ লক্ষ টাকা। মা এখানে বনদেবীর আদলে থাকবেন। স্থায়ী মন্দিরে মায়ের সাবেকি প্রতিমায় পুজো হবে। আশা করছি, দর্শকদের এই উদ্যোগ ভালো লাগবে। 

    পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৫ সালে এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। এবার ৫০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপটি বাঁশ, কাপড়, চট প্রভৃতি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জিত পরিবেশবান্ধব মণ্ডপের সামনে পুকুর, পুকুরে রাজহাঁস, নৌকা, মাছ ধরার দৃশ ফুটিয়ে তোলা হবে। এছাড়াও থাকবে মৌচাক, সুন্দরী গাছের দৃশ্য। গাছের উপরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে এমন ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে। সুন্দরবনের বনদেবীর আদলে দুর্গা প্রতিমা বানাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের শিল্পী শিবু সূত্রধর। উল্টো রথের দিন থেকে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মন্দির ও মণ্ডপ প্রাঙ্গণ সহ গোটা এলাকায় চন্দননগরের আলোকসজ্জায় সাজানো হবে। প্রায় ৩০০ ফুটের আলোর একটি প্যাসেজ সিলিং তৈরি করা হবে। এছাড়াও থাকবে কল্কা, ভূতপ্রেত সহ নানা আলোর খেলা। পুজোর চারদিনই এখানে দর্শনার্থীদের প্রসাদ বিলি করা হবে। এই ক্লাব পুজোর পাশাপাশি সারা বছরই নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)