• চিতাবাঘের আতঙ্ক কাটাতে চার চা বাগানে নিরাপত্তা দেবে কিউআরটি
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সাতদিনে তিনটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে বনদপ্তরের খাঁচায়। স্বস্তির মাঝে তবুও মোহরগাঁও গুলমা চা বাগানে চিতার আতঙ্ক। মোহরগাঁও গুলমা ছাড়িয়ে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে লাগোয়া আরও তিনটি চা বাগানে। তাই চা মহল্লায় চিতাবাঘের আতঙ্ক দূর করতে বনদপ্তর কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) গঠন করেছে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম দার্জিলিং জেলার সমতলের চারটি চা-বাগানে কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি কাজ করবে।

    শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া সুকনার চা-বলয়ে মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘ হানা দিচ্ছে।  সাতদিনে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়েছে তিনটে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ।  সোমবার ভোরেও মোহরগাঁও গুলমার বড় আসাম সেকশনে ছাগলের টোপ দেওয়া খাঁচায় ধরা পড়ে একটি স্ত্রী চিতাবাঘ। তার আগে মঙ্গলবার এবং শুক্রবার একই জায়গায় ধরা পড়েছিল দু’টি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, চা-বাগানের সেচনালারও গাছের গোড়া চিতাবাঘের বাসস্থানের জন্য অনুকূল জায়গা। বন থেকে বেরিয়ে চিতাবাঘ চা-বাগানের সেচ নালা এবং গাছের গোড়ায় ঘাপটি মেরে থাকে। শ্রমিকরা চা-পাতা তুলতে গেলেই চিতাবাঘের হামলার শিকার হন। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে সুকনার চারটি চা-বাগানের জন্য কিউআরটি তৈরি করল বনদপ্তর। চামটা, মোহরগাঁও গুলমা, দাগাপুর ও সুকনা চা-বাগানের জন্য এই কিউআরটি তৈরি করা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিক ও যুবকদের নিয়ে কিউআরটি টিম তৈরি করা হয়েছে। এক একটি টিমে আট থেকে দশ জন করে সদস্য রয়েছেন। চা-বাগান ও সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘ হামলা করলে বা দেখা গেলে কী করতে হবে, তাদের সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না-পর্যন্ত বন বিভাগের কর্মীরা পৌঁছবেন, ততক্ষণ সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখা তাঁদের দায়িত্ব। পাশাপাশি, চিতাবাঘকে লোকালয় থেকে দূরে রাখার কাজও করবে কিউআরটি।  

    সুকনা স্কোয়াডের রেঞ্জার দিলীপ বিশ্বাস বলেন, রোজ সকালে এবং দুপুরে শ্রমিকরা চা-বাগানে কাজ কর‍তে যাওয়ার আগে কিউআরটি পটকা ফাটাবে। চা-বাগানে চিতাবাঘ রয়েছে কি না, তা পটকা ফাটিয়ে নিশ্চিত করবে কিউআরটি-র সদস্যরা। নজরদারির জন্য সার্চলাইট, জাল, পটকা এসব সামগ্রী বন বিভাগের তরফে সরবরাহ করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)