• আউটডোরে উপচে পড়া ভিড়, কেউ অপেক্ষায়, কেউ ফিরে গেলেন
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: একদিকে আউটডোরে উপচে পড়া ভিড়, অন্যদিকে পিজিটি এবং জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার কর্মবিরতি। সোমবার এই পরিস্থিতির মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা অব্যাহত। ব্রেনস্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে ভর্তি না নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকেই ফিরিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। আউটডোরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে প্রায় চার হাজার রোগীও চরম নাজেহাল হন। বিপুল রোগী সামাল দিতে হিমশিম দশা সিনিয়র চিকিত্সকদের। সব মিলিয়ে চিকিত্সকদের আন্দোলনের জন্য সপ্তাহের প্রথমদিনই রোগী ভোগান্তির চিত্র প্রকটভাবে দেখা দিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। 

    শিবমন্দিরের লেনিন কলোনির ৫৮ বছরের নবী খান রবিবার রাতে টোটো চালিয়ে বাড়িতে ফেরার পর মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান। প্রাথমিক সুশ্রুষার পর খাওয়াদাওয়া করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শরীরের বাঁ দিক নাড়াচাড়া করতে পারছেন না। কথা বলতেও অসুবিধা হচ্ছে। পরিবারের লোকরা তাঁকে এদিন সকালে মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ডাক্তার দেখানোর পর নবী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি না নিয়ে ডাক্তাররা ওষুধ লিখে বাড়ি চলে যেতে বলেন। আমার সমস্যা হচ্ছে বলে ভর্তি নেওয়ার কথা বলি। কিন্তু চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, এখন ভর্তি নেওয়া যাবে না। 

    এদিন আউটডোরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নতুন রোগী এসেছিলেন। মেডিসিন এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন আউটডোরে রোগীর ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। খড়িবাড়ির দীনেশ সিং এসেছিলেন স্ত্রীর কোমরে ব্যথার জন্য ফিজিক্যাল মেডিসিনে ডাক্তার দেখাতে। দীনেশ বলেন, ডাক্তারবাবুরা রোগীদের অল্প অল্প কথা শুনছেন। ব্যায়ামও দেখাচ্ছেন না। দ্রুত ওষুধ লিখে ছেড়ে দিচ্ছেন। ফাঁসিদেওয়ার রমেশ ঘোষেরও একই অভিযোগ। 

    যদিও হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিকের বক্তব্য, রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানা নেই। কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে পরিবারের লোকেরা আমার অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারে। আমরা ব্যবস্থা করব। কিন্তু পরিজনদের বক্তব্য, রোগী সামলাব, না কি সুপারের অফিস খুঁজে বেড়াব!
  • Link to this news (বর্তমান)