• ডাঃ রাজীব প্রসাদকে আটকাতে ঘরে তালা
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: এবার ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের ঘরে তালা দেওয়া ঘিরে উত্তেজনা চড়ল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। সম্প্রতি কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পদ থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ডাঃ রাজীব প্রসাদকে। গত শুক্রবার তাঁর বদলির নির্দেশ জারি হয়েছিল। এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের এক প্রাক্তন অধ্যাপক-চিকিৎসক সম্প্রতি ডাঃ রাজীব প্রসাদের বিরুদ্ধে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রভাব খাটানোসহ একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন। যদিও প্রাক্তন ওই এমএসভিপি তাঁর বদলির সঙ্গে অভিযোগের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন ।

     গত শনিবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জয়েন করেন ডাঃ রাজীব প্রসাদ। ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পান। প্রতিবাদে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাঃ রাজীব প্রসাদকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রেসিডেন্ট ডক্টর্স ও জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহাকে স্মারকলিপি দেয়। 

    রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ডাঃ কৌস্তভ চক্রবর্তী ও শাহরিয়ার আলম বলেন, আর জি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই পরিস্থিতিতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠা একজন চিকিৎসককে এখানে বদলি করে ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া, মেনে নিতে পারছি না। এর পিছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে।ডাঃ রাজীব প্রসাদের বিরুদ্ধে যেসব  অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত শেষ না করে কেন তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বদলি করে পাঠানো হল। কেনই বা উনি কাজে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হল। আমরা থ্রেট কালচারের অবসান চাই। তাই ওঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়েছি। এতে কাজ না হলে আন্দোলন আরও ব্যাপক হবে। 

    জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মেহেদি হাসান রহমান বলেন, অতীতেও দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের এখানে বদলি করে পাঠানো হয়। ডাঃ রাজীব প্রসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠামাত্র তাঁকেও বদলি করা হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। আমাদের প্রশ্ন, এটা কি ডাম্পিং গ্রাউন্ড? আমরা ডাঃ রাজীব প্রসাদকে এখানে বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন তাঁর চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যদিও এ ধরনের আন্দোলনে মোটেই বিচলিত নন ডাঃ রাজীব প্রসাদ। এদিনই তাঁর কাকা মারা গিয়েছেন। তাই কলেজে আসতে পারেননি। টেলিফোনে তিনি বলেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের অনেকেই আমার ছাত্র। এর মধ্যেই আমি মেডিক্যালে কলেজে যাব। কথা বলে ভুল ভাঙাব। দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবসময় চাই পড়াশোনা করে সবাই পাশ করুক। তাতে হয়তো কারও অসুবিধা হচ্ছিল। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একবছর আগে ছাত্রের খাতার ছবি তুলে রেখে এতদিন অভিযোগকারী চুপ করে বসেছিলেন। এর পিছনে চক্রান্ত দেখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)