• তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার স্থান কি বদল হয়েছে? হাসপাতালের লিফটে নজর গোয়েন্দাদের
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের নজর এবার ক্যাজুয়াল্টি ব্লকের লিফটের দিকে। ‘অভয়া’ ডিউটি ধরার পর কতবার লিফটে করে যাতায়াত করেছেন এবং কোন কোন ফ্লোরে গিয়েছেন, সেই তথ্য সংগ্রহ করছে তারা। এরমধ্যে কোনও লিফট সিসি ক্যামেরার কভারেজের আওতার বাইরে রয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। ঘটনাস্থল পরিবর্তন (পিও) হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে লিফটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে এজেন্সি।

    তরুণী চিকিৎসককে কি সেমিনার হলেই খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনও ফ্লোরে খুন করে শ্যাডো প্লেস অব অকারেন্স (পিও) হিসেবে ওই হলকে ব্যবহার করা হয়েছে— এই জট এখনও খুলতে পারেনি সিবিআই। সূত্র পেতেই ক্যাজুয়াল্টি ব্লকের সমস্ত ফ্লোরে গিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয় নামা-ওঠার জন্য ক’টি লিফট রয়েছে এই ব্লকে। আপৎকালীন সময়ে নামার জন্য বা ডাক্তারদের ব্যবহারের জন্য ভিতরে কোনও লিফট রয়েছে কি না, সেটা জানতে হাসপাতালের পূর্তদপ্তরের কাছ থেকে বিল্ডিংয়ের নকশা নেন তদন্তকারীরা। ক্যাজুয়াল্টি ব্লকের সমস্ত লিফট দিয়ে ওঠানামা করেন তাঁরা। আতস কাচ দিয়ে খুঁজে দেখা হয় কোনও লিফটে কিছু প্রমাণ পড়ে রয়েছে কি না। পূর্তদপ্তরের যাঁরা লিফট চালান, তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই তরুণীকে তাঁরা আট তারিখে উপরে নিয়ে গিয়েছিলেন কি না। সিবিআই জেনেছে, সাধারণ লিফট রাতে চালানোর জন্য কোনও কর্মী থাকেন না। শুধুমাত্র ডাক্তারদের ব্যবহারের জন্য লিফটও ভালো করে পরীক্ষা করা হয়। নকশা ধরে হাসপাতালের থাকা কুড়িটি লিফটে ওঠানামা করেন আধিকারিকরা। লিফট পর্যন্ত আসার জায়গায়ে ক’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং সেগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাঁদের নজরে এসেছে, বিভিন্ন তলায় এমন কিছু এরিয়া রয়েছে, যেখানে ক্যামেরা কভার করছে না। এমনকী ভিতরে থাকা লিফটের জায়গায় নজরদারিও নেই। তদন্তকারীদের সন্দেহ, যদি তরুণীকে ওই  ফ্লোরে কোথাও খুন ও ধর্ষণের পর সেমিনার হলে নিয়ে আসা হয়ে থাকে, তাহলে সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই, এমন জায়গা ব্যবহার করেই সম্ভবত লিফটে তোলা হয়েছে।  এর সপক্ষে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে উঠতে পারেনি সিবিআই। সেই কারণে তরুণী কখন শেষবার ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ের লিফট ব্যবহার করেন, তা জানার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এমনকী অন্য কোনও বিল্ডিংয়ে রাতে গিয়েছিলেন কি না বা গিয়ে থাকলে কখন ফিরলেন এবং সঙ্গে কারা ছিলেন, সেটা জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।  আর যদি অন্য কোনও বিল্ডিংয়ে তাঁকে খুন ও ধর্ষণ করে সেমিনার হলে আনা হয়ে থাকে, তা কী করে সম্ভব হল— এই প্রশ্নের উত্তরও হাতড়াচ্ছে এজেন্সি। 
  • Link to this news (বর্তমান)