• চুঁচুড়ায় দলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল কাউন্সিলারদেরই
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: দলেরই পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে আনাস্থা আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলাররা। সোমবার চুঁচুড়া পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান অমিত রায়ের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দলের ১৮ জন কাউন্সিলার চিঠি দিয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই চুঁচুড়ায় শাসকদলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। তার একদিকে ছিলেন অমিতবাবু, অন্যদিকে আছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোমবারের ‘অনাস্থা পত্র’ সেই টানাপোড়েনেরই পরিণতি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অসিতবাবু দলের হুগলি-শ্রীরামপুর জেলার সহ সভাপতিও। ফলে পরিস্থিতি অন্যমাত্রা পেয়েছে।

    আবার, অমিত রায় শিবিরের দাবি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে হলে মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে তেমন কিছু করা হয়নি। তাই মনে হয়, পুরসভার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চেয়ারম্যানকে চাপে রাখাই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। যদিও চেয়ারম্যান বলেন, দলের নেত্রী চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নাম নির্বাচন করে জেলা নেতৃত্বকে তা কার্যকর করতে বলেছিলেন। ফলে, কাউন্সিলারদের অনাস্থা নিয়ে কিছু ভাবছি না। যাঁরা অনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের অনেকে পরে এসে দেখাও করে গিয়েছেন। আসলে কয়েকজন লুটেপুটে খেতে চাওয়া কাউন্সিলার ও তাঁদের এক ‘বিরাট নেতা’র ব্যক্তিগত পরিকল্পনায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। কিন্তু ওই নেতার তত্ত্বাবধানে চুঁচুড়া বিধানসভাতে সদ্য লোকসভা নির্বাচনেও দলের হার হয়েছে।

    যাঁকে ‘বিরাট নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন চেয়ারম্যান সেই বিধায়ক তথা দলের জেলা সহ সভাপতি অসিত মজুমদার বলেন, আমি অনাস্থার বিষয়ে কিছু জানি না। পুরসভার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমি কখনও হস্তক্ষেপ করিনি। আর যেসব কাউন্সিলার এদিন স্বাক্ষর করে পুরসভায় অনাস্থা জমা দিয়েছেন, তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁদের দাবি, বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শহরে পুর পরিষেবা লাটে উঠেছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভাতা সময়ে হচ্ছে না। এসব কারণে মানুষের কাছে, কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। তাই তাঁরা অনাস্থা এনেছেন।

    বিষয়টি নিয়ে দলের জেলা চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, দলীয় স্তরে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আর দলের শহর সভাপতি সঞ্জীব মিত্র বলেন, রাজ্যে একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন দলের কয়েকজনের ওই পদক্ষেপ তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৩০ আসনের চুঁচুড়া পুরসভায় এই মুহূর্তে ২৯ জন কাউন্সিলার আছেন। তার মধ্যে ২৮ জনই শাসকদলের। 
  • Link to this news (বর্তমান)