সংবাদদাতা, হরিপাল: হরিপাল থানার আশুতোষ পঞ্চায়েতের চক-চণ্ডীনগর এলাকায় সেচদপ্তরের জমিতে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। অনুমোদন ছাড়াই তিনি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত ঠিকাদার। সিপিএমের তোলা এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের হরিপাল ব্লকের সভাপতি বলেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। রাজ্যে দখল হয়ে থাকা সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সিপিএম হরিপাল এলাকায় সরকারি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সোচ্চার হয়। সিপিএমের হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা বলেন, হরিপালের চক-চণ্ডীনগরে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার সেচদপ্তরের জায়গা দখল করে দোকানঘর বানিয়েছেন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সেচদপ্তরের আধিকারিকরাও এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শুধু এই এলাকা নয়, হরিপালে বিডিও অফিসে ঢোকার মুখে একদিকে পেট্রল পাম্প তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ওই দোকানঘর। ফলে বর্ষায় এইসব এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এইভাবে নিকাশিনালা ভরাট ও বেআইনি নির্মাণ হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হরিপাল বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়বে। এই বিষয়ে ঠিকাদার মহম্মদ নাজিমউদ্দিন বলেন, দোকান ঘর নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি, একথা সত্যি। তবে এটি সেচদপ্তরের জায়গা নয়। পঞ্চায়েতের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে দোকানঘর নির্মাণ হল, তা জানার জন্য আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। জলাভূমির উপর দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে তৃণমূলের হরিপাল ব্লকের সভাপতি দেবাশিস পাঠক বলেন, এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।