• সোদপুরকে কেন্দ্র করে নিত্য অবরুদ্ধ বিটি রোড, দুর্ভোগ, ক্ষুব্ধ অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীরা
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সোদপুর। দলমত নির্বিশেষে বিচার চাইছেন সবাই। এই আবহে বিক্ষোভ মিছিলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে সোদপুর ট্রাফিক মোড়। বিক্ষোভের জেরে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে দু’-চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকছে ব্যস্ত বি টি রোড। অফিস ফেরত মানুষজন যানজটে চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছেন। গত শনি ও রবিবার ছুটির দিন হলেও ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। প্রথম দিকে বহু মানুষ এই আন্দোলনকে দু’হাত তুলে সমর্থন করলেও প্রতিদিন রাস্তা বন্ধ হওয়ায় এখন অনেকেই তিতিবিরক্ত। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ চেনা বাসরুট ছেড়ে ট্রেন ধরে ফিরছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘আমরাও বিচার চাই। তবে প্রতিদিন রাস্তা অবরুদ্ধ না করে আগাম ঘোষণার পর নির্দিষ্ট দিনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হোক।’

    আর জি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের নিজের শহর সোদপুর। স্বাভাবিকভাবেই ভয়াবহ ঘটনার অভিঘাত এখানে অনেক বেশি। এই শহরেই অভয়ার পরিবার, পরিজন, প্রতিবেশীরা থাকেন। তাঁর স্কুলের পড়াশোনা, চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাক্টিস সবটাই সোদপুরে। তাই ঘটনা নিয়ে এখানকার প্রত্যেক মানুষ বিচলিত ও ক্ষুব্ধ। গত ১০ আগস্ট থেকেই সোদপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বিচারের দাবিতে মিছিল শুরু হয়েছিল। সেদিন সেই মিছিল ট্রাফিক মোড়ে আসার পর শুরু হয়েছিল অবরোধ ও বিক্ষোভ। সেই ধারা চলছে আজও। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ শুরু হচ্ছে।  প্রথম দিকে ১০০ থেকে ১৫০ জন থাকলেও কিছু সময়ের মধ্যে তা পাঁচশো বা হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বি টি রোডের দু’টি লেন। যানজট ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এই আন্দোলন বেশিরভাগ দিন রাত ১০ টা থেকে ১২টার মধ্যে শেষ হচ্ছে। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও ঘন্টা দেড়েক লেগে যাচ্ছে। ফলে নিয়মিত বহু মানুষ বিপাকে পড়ছেন। 

    সূত্রের খবর, এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে একাধিক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন কর্মসূচির পরিকল্পনা তৈরি করে সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার অফিস শেষ করে এসেও কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। ৪ সেপ্টেম্বর ফের ‘রাত দখল’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি বিমা সংস্থায় কর্মরত সুদীপ দত্ত বলেন, ‘সাতসকালে কাজে বেরতে হয়। বাড়ি ফিরতে রাত ১০টা বাজে। প্রতিদিন এই অবরোধের জন্য এখন আরও এক-দেড় ঘণ্টা দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)