• একাধিক প্রস্তাব এলবিএস-আর্কিটেক্টদের
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুরনো ম্যাপের বদলে তৈরি করতে হবে পুরো শহরের জিপিএস নির্ভর স্মার্ট ম্যাপ। বিশেষ করে শহরের সংযুক্ত এলাকার (১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড) রাস্তা ও জমির চরিত্রের সব তথ্য আপডেট করে সার্ভেয়ার বিভাগে নথিভুক্ত করতে হবে। তাহলে বিল্ডিং নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এছাড়া, নির্মাণ-বর্জ্য পুরসভাকে দেওয়া বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রেও আরও বিবেচনা করা দরকার। সোমবার টাউন হলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে একাধিক দাবি জানালেন এলবিএস-আর্কিটেক্টরা। বৈঠকে পুর কমিশনার ধবল জৈন সহ বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বিষয়গুলি নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। 

    নির্মাণ-বর্জ্য পুরসভাকে দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে আলোচনায় বলা হয়, পুরনো বাড়ি ভাঙাক পর সেই ইট অনেকে রেখে দেয় নতুন কোনও নির্মাণে কাজে লাগানোর জন্য। কেউ কেউ লোহা বিক্রি করেন। সেই জায়গায় পুরসভা নিয়ম করছে, সম্পূর্ণ নির্মাণ-বর্জ্য দিয়ে দিতে হবে তাদের। তার জন্য পুরসভাকে মোটা অঙ্কের টাকাও দিতে হবে বাড়ির মালিককে। তাই এই নিয়ম বদল করে ১০০ শতাংশ নির্মাণ-বর্জ্য পুরসভাকে দেওয়ার বদলে তা ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন এলবিএস-আর্কিটেক্টরা। কলকাতা পুরসভার এলবিএস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মানসমোহন গুহ মজুমদার বলেন, ‘একাধিক সমস্যার কথা আমরা মেয়রকে জানিয়েছি। বেহালা-গার্ডেনরিচ এলাকায় (১৩, ১৪, ১৫, ১৬ নম্বর বরো) বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট অথরিটির এনওসি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওখানে একতলা বাড়ি তুলতে গেলেও এয়ারপোর্ট অথরিটির অনুমতি লাগে। সেখানে আমরা বলেছি, তিনতলা বাড়ি পর্যন্ত এই এনওসি প্রয়োজন নেই বলে নিয়ম করা হোক।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ১৯০৫ থেকে ১৯০৭ সালে তৈরি হওয়া একটি স্মার্ট ম্যাপ রয়েছে পুরসভার। সেখানে ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড আছে। সেই সঙ্গে ১৯২৮ সালের একটি মৌজা ম্যাপও রয়েছে। সেগুলির উপর ভিত্তি করেই শহরের জমির চরিত্র, রাস্তার খতিয়ান দেখে সব কাজ করা হয়। কিন্তু সংযুক্ত এলাকার কোনও সঠিক মানচিত্র পুরসভার হাতে নেই। তা সত্ত্বেও ওইসব এলাকার ক্ষেত্রে বাড়ি নির্মাণে সার্ভেয়ার বিভাগের এনওসি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার বিএলআরও থেকেও অনুমতি নিতে হয়। তাই তাঁদের দাবি, আগে ওই এলাকার (১০১ থেকে ১৪৪ ওয়ার্ড) জিপিএস ম্যাপিং করে যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হোক। তারপর বিল্ডিং নির্মাণে সার্ভেয়ার বিভাগের এনওসি আবশ্যিক করা হোক। সেই সঙ্গে তাঁরা গোটা শহরের নতুন আপডেটেড ডিজিটাল ম্যাপের দাবিও তুলেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)