লালবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দূরে ফিয়ার্স লেনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা। পুলিশ কমিশনার 'বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাই'- এই দাবি তুলে সারা রাত অবস্থান বিক্ষোভে সামিল ছিলেন তাঁরা। সকালেও অবস্থান একই। অন্যদিকে, ব্যারিকেড করে জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশও।আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে একজন জানান, তাঁদের দাবি পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ। না হয় কমিশনার তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করবেন। এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমাদের মিছিলকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও এই রাস্তার সংযোগস্থল দিয়ে যেতে দিতে হবে। সেখান থেকে আমরা চাইলে স্মারকলিপি দিয়ে আসব। পুলিশ কমিশনারকে আমরা বলে আসব, আপনি শহর চালাতে অপারগ, আপনি দয়া করে পদত্যাগ করুন।’ ডাক্তাররা বলেন, ‘আমরা তো হাতে ফুল নিয়ে এসেছি। এরপরেও পুলিশ এতটাই ভয় পাচ্ছেন যে, পুলিশ কমিশনার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন না।’
রাস্তার উপর চওড়া ব্যারিকেডের এক প্রান্তে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। রাস্তার ওপরেই খাটানো হয়েছে ত্রিপল। সকালে সময় যত বাড়ছে, তত জড়ো হচ্ছে আন্দোলনকারীদের ভিড়। সারা রাত কেউ বসে ছিলেন, কেউ সারা রাত জাগার পর রাস্তার উপরেই শুয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিয়েছেন। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই উঠছে স্লোগান। সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের কোনও প্রতিনিধি কথা বলতে আসেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে চেয়ার পেতে বসে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। নজর রাখা হচ্ছে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের গতিবিধির উপর।
এদিকে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শুধু চিকিৎসকেরাই নন, রাত জেগেছেন অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্য একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও রাতে সামিল হন এই অবস্থান বিক্ষোভে। তাঁরা জানান, আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে থাকতেই তাঁরা রাত জাগতে এসেছেন। ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে মোতায়েন পুলিশকর্মীরাও সকাল থেকে সজাগ। রয়েছেন প্রচুর মহিলা পুলিশকর্মীও। ব্যারিকেডের এক প্রান্তে যখন রাত জেগেছেন আন্দোলনকারীরা, তখন অপর প্রান্ত থেকে নজর রেখে গিয়েছেন পুলিশকর্মীরাও।