টেন্ডার পাস-দেহ পাচার, সন্দীপ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ
আজ তক | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৯ অগাস্ট কলকাতা পুলিশ সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির 120B, 420 ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-র ৭ নম্বর ধারায় মামলা রেজিস্টার করেছিল। এর পরে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, সিবিআই ২৪ অগাস্ট তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
এই উপরোক্ত ধারাতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেনে নিন কোন ধারায় কী কী শাস্তি হতে পারে...
IPC-র 120B ধারা- ভারতীয় দণ্ডবিধির 120B ধারায় একত্রে কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য এই ধারা আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত নিজেই যে সব অপরাধ করেছে এমনটা নয়। কেউ এ ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ হলেও এই ধারা প্রযোজ্য।
শাস্তি- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ২ বছর বা তার বেশি সশ্রম কারাদণ্ড।
IPC-র 420 ধারা - প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অসৎ উপায়ে আয়- এই সবকিছুর বিরুদ্ধে এই ধারার অধীনে একটি মামলা রেজিস্টার করা হয়েছে। বিএনএসের অধীনে, 420-র পরিবর্তে 318 ধারা ব্যবহার করা হচ্ছে।
শাস্তি- সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-র ৭ নম্বর ধারা - যদি কোনও সরকারি আধিকারিক এবং কর্মচারী তাঁদের দফতরের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈধ পারিশ্রমিক ব্যতীত টাকা আয় করেন, সেক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হয়।
শাস্তি: ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা।
সন্দীপ ঘোষকে ১৫০ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছে সিবিআই। ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দু'বার সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্টও করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রথমবার পলিগ্রাফ টেস্টের সময় সন্দীপ ঘোষ প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেননি।
সিবিআই অফিসাররা সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ও হাসপাতালে গিয়ে তল্লাশি চালান। এক আধিকারিক জানান, আর্থিক অনিয়মের তদন্তে তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রথম দল আরজি কর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তদন্ত করে। সেখানকার পরিকাঠামো, দেহের নিরাপত্তা এবং ময়নাতদন্ত পরিচালনার প্রোটোকল সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়। পাঁচ সদস্যের দলটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। এর মধ্যে ছিলেন ডাঃ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ও।