জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে যেতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে পড়েন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খেদালেন, এমন ঘোর অমাবস্যার রাতে ওভাবে কেউ কাউকে খেদায়? বড্ড কষ্ট লেগেছে!’ সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে দেবাংশু লেখেন, ‘ফিলিং স্যাড উইথ শুভেন্দু অধিকারী অ্যান্ড ১০৮ আদার্স ।’
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে সোমবার লালবাজার অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু ব্যারিকেড করে ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা দাবি করেন, যেমন কথা হয়েছিল, সেটা মেনে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল যেতে দেওয়া হোক। তারপর ২০ জনের প্রতিনিধিদল গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে।
যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, কোনও মিছিলকেই ফিয়ার্স লেন টপকাতে দেওয়া হয় না। তাই আর এগোতে দেওয়া হবে না জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলকেও। সেক্ষেত্রে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন যে পুলিশ কমিশনার নিজেই যেন ফিয়ার্স লেনে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।
অ্যাডিশনাল সিপি এসে দেখা করলেও আন্দোলনকারীরা অনড় থাকেন যে পুলিশ কমিশনারকে নিজেকে এসেই দেখা করতে হবে। নাহলে তাঁদের মিছিলকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পুলিশ কমিশনার বিনীত ইস্তফা দিচ্ছেন, ততক্ষণ অবস্থান চলবে।
তারইমধ্যে সোমবার রাতে ফিয়ার্স লেনে আন্দোলনকারীদের অবস্থানে পৌঁছান তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ। তিনি আসতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সাফ বলে দেন, ‘আমরা এখানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি চাই না। যে রাজনৈতিক ব্যক্তি এখানে এসেছেন, তিনি যেন চলে যান।’
‘গো ব্যাক’ স্লোগান শোনার পরে অভিজিৎ বলেন, ‘ওঁরা স্লোগান তোলা ওঁদের অধিকার।’
আরও পড়ুন: RG Lady Doctor Father on Sandip Arrest: ‘আমার মেয়ে দুর্নীতির বলি, আরও অনেকে জড়িত’, সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বললেন বাবা