অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ খারিজ সন্দীপের
এই সময় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোমবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধক্ষ্য সন্দীপ ঘোষ। নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষের সাধারণ সদস্যপদ খারিজ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে অস্থিশল্য বিশেষজ্ঞদের ওই সংগঠন শো-কজ করার পর সন্দীপকে তাঁদের যাবতীয় অ্যাকাডেমিক ক্রিয়াকলাপ থেকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।সোমবার আরজি কর দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ চার জন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সন্দীপদের মেডিক্যাল টেস্ট করানোর পক্ষেই সায় ছিল না সিবিআইয়ের। শেষমেশ গভীর রাতে হয় সন্দীপদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। তাঁদেরকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, রেলের বিআর সিং হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি টিম নিজাম প্যালেসে গিয়ে সকলের মেডিক্যাল টেস্ট করেছেন। রাত ১২.১০ মিনিট নাগাদ চিকিৎসক-সহ তিন জনের একটি টিম নিজাম প্যালেসে যায়। ওই টিমে দু'জন চিকিৎসক ও এক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন বলে খবর।
সাধারণত, সিবিআই কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয় কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে এক্ষেত্রে। রাতেই নিজাম প্যালেসে তাদের মেডিক্যাল টেস্ট করে নেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি, টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক, অফিসারদের বদলি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তার আমলেই এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই দুর্নীতি মামলার তদন্ত ভার হাতে পায় সিবিআই। মোট ১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এর মাঝে সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়েছে। যদিও, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধর্ষণ-খুনের মামলায় তাকে যুক্ত করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।