• 'মহিলাদের ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ নয়, চাইলে তবেই নাইট ডিউটি', মমতার 'রাত্রিসাথী' নিয়ে বিতর্ক
    আজ তক | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ফের 'রাত্রিসাথী' বিতর্ক। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত্রিসাথী প্রকল্পের কথা বললেন বিধানসভায়। যা নিয়ে শুরু হয়ে গেল আলোচনা-সমালোচনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানান, নারীদের নিরাপত্তার জন্য রাত্রিসাথী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই কথা শুনেই হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। 

    মঙ্গলবার বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিল নিয়ে কথা বলেন। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেও বিলকে সমর্থন করবে গেরুয়া শিবির। জানান তিনি। তারপর বক্তব্য দিতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিল নিয়ে কথা বলা শুরু করা মাত্র বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দেন। তাতে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন। 

    বক্তব্যের শেষ দিকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও কোনও মেডিক্যাল কলেজ এমন আছে যেগুলো নির্জন জায়গাতে। আমি করিনি। আগে থেকেই আছে। সেই সব জায়গাগুলোতে সিসিটিভি বসাতে বলেছি। তা নিয়ে হেলথ সেক্রেটারির সঙ্গে কথা হয়েছে। সেজন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। হয়তো টাইম লাগবে। যেখানে রেস্টরুম নেই সেখানে রেস্টরুম করার কথা বলেছি। মেয়েদের সুরক্ষার জন্য রাত্রিসাথী করা হয়েছে। মহিলারা যত কম সম্ভব, ১২ ঘণ্টা ডিউটি করবে। কোনও এমার্জেন্সি থাকলে ডাক্তার বাড়াবে ডিউটি আওয়ার।' 

    মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলেন তখনই প্রতিবাদ করতে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে লক্ষ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন করলেন ? তার উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেন করলাম সেটা আমার ব্যাপার।' তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বক্তব্য দেন। তিনি বলতে থাকেন, 'আমরা মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে এই স্কিম এনেছি। রাতে কাজ করতে চাওয়া মেয়েরা কাজ করবে। রাত্রে কেউ কাজ করলে তাদের পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। সেজন্যই তো রাত্রিসাথী করা হয়েছে। হাসপাতালগুলো, স্কুল, মিডডেমিল সেন্টারগুলোকেও সঠিক পদক্ষেপের জন্য বলেছি।' 

    তবে এই রাত্রিসাথী নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। এই প্রকল্পের কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও রাত্রিবেলা মহিলাদের কম কাজ করানোর কথা বলেছিলেন। তারপরই অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'রাজ্য সরকার মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে, তাদের কাজের সময় কমিয়ে দিচ্ছে। এটা কাঙ্খিত নয়।'  
     
  • Link to this news (আজ তক)