এক ভিডিয়ো বার্তায় কুণাল ঘোষ বলেন-- সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগে ধরা হয়েছে। তদন্ত যা হওয়ার হোক। যদি দুর্নীতির অভিযোগের সারবত্তা থাকে উচ্ছন্নে যাক। এ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। তবে সিবিআইয়ের কাছে অনুরোধ, আসল ঘটনাটা অর্থাৎ, খুন-ধর্ষণ, মেয়েটার উপর অত্যাচারের তদন্ত কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? একমাত্র গ্রেফতারও তো কলকাতা পুলিস করেছে। সিবিআইয়ের কোনও গ্রেফতারও নেই, পদক্ষেপও নেই। দুর্নীতির মামলা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ছেলেটি একা ছিল, না কি কোনও চক্র ছিল, সে আপডেটটা তো দিতে হবে। কুণাল ঘোষের আরও বক্তব্য, বিচার যত দেরি হবে, তত ন্য়ায্য প্রতিবাদ বাড়বে।
সোমবারের মতো মঙ্গলবারও অতিরিক্ত সিপি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। আন্দোলনকারীদের তরফে তাঁকে বলা হয়, তিনটি জিনিস তাঁরা বলেছেন-- হয় আমাদের মিছিলটা এগোতে দেওয়া হোক, তা না করলে সিপি স্যর এখানে আসুন। ওঁকে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। উনি নিয়ে চলে যান। এগুলির কোনওটাই না হলে সিপি লালবাজার থেকেই পদত্যাগ করুন।
তবে বরফ গলেছে। কেননা, ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে কলকাতা পুলিস। জুনিয়র ডাক্তারেরাও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা এবার তাঁদের ডেপুটেশন জমা দেবেন।
সম্প্রতি আরজি করে ডাক্তার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে গান বেঁধেছেন অরিজিত্ সিং। 'আর কবে' গানটিতে এ সময় প্রায় সারা বাংলাই ডুবে। ঠিক সেই তুঙ্গ সময়েই এই গান গাওয়ার জন্য অরিজিতের সমালোচনা করেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগৎ , কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?' প্রসঙ্গত, অরিজিতের গানের একটি প্যারোডিও করেন কুণাল। আর এই সবটা নিয়েই বিপুল সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি।