• নারী নিরাপত্তায় ব্যর্থ! ‘অপরাজিতা’ বিল পেশ করে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
    প্রতিদিন | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ধর্ষণবিরোধী কড়া বিল পেশ করল রাজ্য সরকার। বিধানসভায় মঙ্গলবার বিলটি পেশ করেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।  ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এরাজ্যের নারী নিরাপত্তার সঙ্গে বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতির তুলনা করতে গেলে বিরোধীরা হইহই করে ওঠেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পালটা দাবি, ”এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। বিজেপি শুধু বাংলার নামে কুৎসা করে যাচ্ছে। এই কুৎসাকারীদের বলি, এটা করে আপনারা আর জি করের বীভৎসতাকে কমিয়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। উনি জাতীয় লজ্জা! ওঁকে আগে পদত‌্যাগ করতে বলুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলুন।”

    পূর্ব ঘোষণামতো মঙ্গলবার বিধানসভার (Assembly) বিশেষ অধিবেশনে পেশ হয়েছে ‘অপরাজিতা’ বিল। আলোচনার জন্য ঘণ্টা দুয়েক সময় ছিল। প্রথমে বিরোধী দলের বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা বক্তব্য রাখেন। ‘বিলে নতুন কিছু নেই’ বলেও তাকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পর মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠলে  বিরোধীরা শোরগোল শুরু করেন। তাঁর সামনেই স্লোগান উঠতে থাকে, ”দাবি এক, দফা এক/মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ”। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী পালটা বললেন, ‘‘আগে নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ চাই। তার পরে বাকি কথা।’’

    নারী নিরাপত্তায় দেশের সামগ্রিক চিত্রের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গে তোলেন। দেশে ধর্ষণ, গণধর্ষণের একাধিক ঘটনার উল্লেখ করেন। সেসব ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীকে ২ বার চিঠি লেখেন। তার সদর্থক জবাব মেলেনি, এই অভিযোগ তুলে বলেন, ”এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। বিজেপি শুধু বাংলার নামে কুৎসা করে যাচ্ছে। এই কুৎসাকারীদের বলি, এটা করে আপনারা আর জি করের বীভৎসতাকে কমিয়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। উনি জাতীয় লজ্জা! ওঁকে আগে পদত‌্যাগ করতে বলুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলুন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)