ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ১৫ দিন ধরে সিবিআই দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার (Arrested) হয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আর তার পরই তাঁর সাধারণ সদস্যপদ খারিজ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষের নাম FIR-এ থাকায় অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাঁকে তখনকার মতো সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এদিকে, সন্দীপের IMA-র সদস্যপদও খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের শাখা সংগঠনের তরফে।
আর জি করে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকে ঘরে-বাইরে নানা চাপে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ঘটনার পর পড়ুয়াদের চাপে তাঁকে অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দিতে হয়। এর পর থেকে যে কটি সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত, তারাও একে একে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর আগে অস্থিশল্য বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন অর্থোপেডিক সার্জেন সন্দীপ ঘোষকে শোকজ (Showcause)করেছিল। এর পর তাঁকে নিজেদের যাবতীয় অ্যাকাডেমিক ক্রিয়াকলাপ থেকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার তিনি সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষের সাধারণ সদস্যপদ (General membership) খারিজ করা হল।
এদিকে, সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর তিন সঙ্গী ? সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং ও আফসার আলি নিজাম প্যালেসেই (Nizam Palace) রয়েছে। সোমবার রাতে তাঁদের মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে নিজামেই। রাতভর চলে জেরা। সূত্রের খবর, আগে থেকেই গ্রেপ্তারির আভাস পেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাই তিনি ছিলেন ধীর-স্থির, শান্ত। গ্রেপ্তারির পরও স্নায়ুর শীতলতা বজায় রেখেছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্ত কীর্তিকলাপ জানতেন সন্দীপ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুরের পর চারজনকে আলিপুরে (Alipore)সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করার কথা।
তার আগে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে নথিপত্র নিয়ে যান ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলে’র এক প্রতিনিধি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, এর আগে তাঁরা যখন সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেসময় তাঁদের বলা হয়েছিল, লিখিত অভিযোগ বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে তা জমা দিতে। সেসব তথ্য জমা দিতেই আজ তিনি এসেছেন।