• 'মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিয়েছিলাম' কারণ জানিয়ে সাফাই মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেছেন, ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছিলেন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তাদের সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করেছিলেন।

    বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ঘটনার পরেই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাদের বাড়িতে যাওয়ার আগে স্বচ্ছতার জন্য তাদের সমস্ত অডিও, ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছিল। আমি জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম এবং তাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম যে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে সোমবার আমি মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে, যার পরে তিনি তাদের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে যাওয়ার এবং মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    এখন আমরা সিবিআইয়ের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি এবং ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

    মহিলাদের সুরক্ষায় কার্যকর আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সম্প্রতি যে সমস্ত রাজ্যে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল বিল ২০২৪-এর পেশ করার পর বিধানসভায় বক্তব্য রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তিনি বলেন, দ্রুত তদন্ত, দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান এবং দোষীদের শাস্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিল আনা হয়েছে।

    এই বিলে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যদি অপরাধের ফলে নির্যাতিতার মৃত্যু হয় বা স্থায়ী অজ্ঞান অবস্থা তৈরি হয়। একই সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত আসামিদের প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা হয়েছে।

    বিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন ২০১২ সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    তদন্ত ও প্রসিকিউশন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থাটির। প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের ২১ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে, যা আগের দুই মাসের সময়সীমার চেয়ে কম।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)