• জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে পিছু হঠল পুলিশ, সরানো হল ব্যারিকেড, মিশন লালবাজার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। লাগাতার আন্দোলন। ২২ ঘণ্টা পর ব্যারিকেড সরাতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানব শৃঙ্খল করে তাঁরা থাকবেন। কিন্তু পুলিশের কোনও ব্যারিকেড থাকবে না। মাথা নোয়াল পুলিশ। নজির তৈরি করলেন চিকিৎসকরা। তাঁদের একটাই প্রশ্ন ব্যারিকেড সরাতে কেন এতটা সময় নিলেন? 

    সোমবার দুপুর থেকে ফিয়ার্স লেনে ব্য়ারিকেড করেছিল পুলিশ। ৯ ফুটের ব্যারিকেড। একেবারে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছিল সেই ব্যারিকেড। সঙ্গে ছিল গার্ড রেল। লালবাজারে যাওয়ার রাস্তাতেই এই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আমরা লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে এসেছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা লালবাজার অভিযানে শামিল হয়েছেন। 

    ঘণ্টেশ্বরী শিবমন্দিরের কাছাকাছি জায়গায় অবস্থানে রাতভর বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বার বার বলেছিলেন আমরা কিছুটা এগিয়ে যেতে চাই। ব্যারিকেড সরিয়ে নিন। বার বার একই দাবি  করতে থাকেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা রাতভর তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন। ব্যারিকেড সরাতে হবে। 

    এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফিয়ার্স লেনের পর থেকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের পরের অংশটি ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সেখানে কেন এই ব্যারিকেড?

    মঙ্গলবার  জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক রুপেশ কুমার দফায় বৈঠক করেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। এরপর আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন ব্যারিকেড সরিয়ে নিন। আমরা ১০০ মিটার মতো এগোতে চাই। সেখানেই অবস্থান করবেন চিকিৎসকরা। এরপর সেখান থেকে ২২জনের একটা প্রতিনিধিদল যাবেন সিপির অফিসে। সেখানে ছবিও তোলা হবে ডেপুটেশন দেওয়ার সময়। 

    অবশেষে ২২ ঘণ্টা পরে তালা খোলা হল ব্যারিকেডের। ধাপে ধাপে ব্যারিকেড সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। রেলিং সরানো হচ্ছে। হাতে ফুল চিকিৎসকদের। শুরু হল গান, কারার ওই লৌহ কপাট। সরানো হল ব্যারিকেড। কার্যত মাথা নোয়াল পুলিশ। যে কলকাতা পুলিশ আরজি করের ভাঙচুর আটকাতে পারেনি। যে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। সেই কলকাতা পুলিশ চিকিৎসকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের চাপে মাথা নত করল। সরানো হল ব্যারিকেড। শুরু হল গান, আমরা করব জয়…

    তবে প্রশ্নটা থেকেই গেল একটা ব্যারিকেড সরানোর জন্য কলকাতা পুলিশের কেন এতটা সময় লাগল? কেন এই সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গে নিতে পারল না কলকাতা পুলিশ? তবে কি পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই এবার সরে আসছে পুলিশ? আরও ওপরমহল থেকে কি নির্দেশ এল? তার জেরেই সরানো হচ্ছে ব্যারিকেড? 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)