• ধর্ষণবিরোধী কড়া বিলে সাত দফা প্রস্তাব দিলেন শুভেন্দু, উঠল মমতার পদত্যাগের দাবিও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী কড়া বিল পাশ হয়ে গেল। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব রেখেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, অনলি আইওয়াশ। আপনারা কনভিকশন চাইছেন না। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আপনি আইনের কিছু বোঝেন না। 

    এরপরই বিরোধী বিধায়করা স্লোগান তুলতে শুরু করেন, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। বিচার চাই বলে দাবি তোলেন শুভেন্দুরা। 

    ১) পুলিশ স্টেশন এফআইআর নিতে অস্বীকার করলে বা অযথা বিলম্ব করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হোক। 

    ২) বিধিসম্মত মেডিক্যাল পরীক্ষা অথবা ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বিলম্ব বা অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তির বিধান রাখা হোক। 

    ৩) তথ্য প্রমাণ লোপাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্য়ক্তি বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তির বিধান রাখা হোক। 

    ৪) মামলায় স্বাক্ষ্য প্রদানের সময় কেবলমাত্র গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া স্বাক্ষ্য প্রদানের দিন পরিবর্তন করা যাবে না। 

    ৫) তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মী বয়ান বদল করলে চূড়ান্ত শাস্তির বিধান রাখতে হবে। 

    ৬)স্বাক্ষ্যদান চলাকালীন রাজ্য সরকারের পুলিশ কর্তৃক পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। 

    ৭) ৩০দিনের মধ্য়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত শাস্তি কার্যকর করতে হবে। 

    জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    এদিকে এই বিল পাশ করার সময়তেও এদিন বিরোধী দলের বিধায়করা তুমুল হইহট্টগোল করা শুরু করে। তাঁদের দাবি, প্রকৃত দোষীকে  শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনও সদিচ্ছা সরকারের নেই। গোটা বিষয়টিই লোকদেখানো বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। 

    আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এই বিল পেশ করেন। 'অপরাজিতা' বিল এই বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। রয়েছে জরিমানা বিধানও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে 'অপরাজিতা' বিলে। এই  বিলের পুরো নাম হল - 'দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪'।

    সূত্রের খবর, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। দণ্ডিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। রয়েছে জরিমানারও বিধান। অপরাজিতা বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে। অথবা দণ্ডিত যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন জেলে থাকার বিধান আছে। সঙ্গে আছে জরিমানারও বিধান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)