সর্বসম্মতিক্রমে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হয়ে গেল। বিজেপি সমর্থন না করলেও তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে যে সংখ্যা আছে, তাতে অনায়াসে বিল পাশ হয়ে যেত। তবে ওই বিলে সমর্থন জানায় বিজেপি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমেই বিলটি পাশ হয়ে যায়। যে বিল এবার অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। তাঁদের অনুমোদন পেলে তবেই আইনে পরিণত হবে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’। যে বিলের মাধ্যমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন করা হয়েছে। আরও কঠোর শাস্তির বিধান আছে অপরাজিতা বিলে।
অপরাজিতা বিল পেশের সময় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানান, তাঁরা বিলে সমর্থন জানাবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রেজাল্ট দেখতে চাই। বিলকে দ্রুত রুলসে পরিণত করা হোক।’
যদিও পরবর্তীতে শুভেন্দুর কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে জবাব দেওয়া হয়, তাতে সন্তুষ্ট হননি বিজেপি বিধায়করা। তারপরই ‘আইওয়াশ’ বলে আক্রমণ করা হয়। ‘দফা এক, দাবি এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ’ স্লোগন তোলা হতে থাকে। সেই স্লোগানের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েকটি কারণে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ আনা হয়েছে। প্রথমত, ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তি আরও কঠোর করা। দ্বিতীয়ত, তদন্তপ্রক্রিয়া এবং বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পরই মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে ওঠেন। আর তারপরই মমতা বলেন, ‘আমি কারও জ্ঞান শুনব না।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বিল মেয়েদের অধিকার রক্ষার বিল। মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে সামিল হতে হবে।’
অপরাজিতা বিলকে যে বিজেপি বিধায়করা সংসদ করবেন, তা আগেই জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন যে রেজাল্ট দেখতে চান। বিলকে দ্রুত আইনে পরিণত করা হোক। পালটা শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘রাজ্যপালকে বিলে সই করতে বলুন। তারপরেই দেখবেন যে আইন হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: Kolkata Junior Doctor Family: ‘আগে জানলে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না’, বুক ফেটে যাচ্ছে RG করের তরুণীর বাবা-মা'র