• প্রতিবাদে সমস্যা তৈরি করতেই কি ধর্মতলায় শ্লীলতাহানি? ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব পুলিশের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল শহরে লাগাতার চলছে। তার মধ্যেই রবিবার ধর্মতলায় ধর্না মঞ্চে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগে তাপস পাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাপসকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, অশান্তি তৈরি করার জন্য তাপসকে ধর্না মঞ্চে পাঠানো পাঠানো হতে পারে। এর জন্য তাকে অর্থও প্রদান করা হতে পারে। তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, ৪০ বছর বয়সি তাপস পাল সদানন্দ রোডের কাছে সাহানগরের বাসিন্দা। কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস বাবা-মাকে বলেছিলেন যে তিনি আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিচলিত ছিলেন। তবে তারা তাপসের এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা জানতেন না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পর তার মাকে রাতে ৮ টার মধ্যে তাড়াতাড়ি খাবার দিতে বলেছিলেন। তারপরে তিনি তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যদিও কোথায় যাচ্ছেন তা বাড়িতে কাউকে তিনি জানাননি বলে দাবি করেন বাবা মা। তার বাবা বিজন পাল একজন সিপিএম মনস্কের ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে যে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে বাড়িতে থাকার সময় পর্যন্ত তার মধ্যে সেরকম কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

    তিনি জানান, পরের দিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে তারা হেয়ার স্ট্রিট পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়ে জানতে পারেন তাপসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর স্পষ্ট দাবি, তাঁদের ছেলে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তাপসের বাবা মা। তারা জানিয়েছেন, তাপস এর আগে কোনও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। তাছাড়া, তাপস তার রাজনৈতিক মতাদর্শও কোনওদিন তাদের জানাননি। তবে তাপসের মা বেশি কথা বলতে চাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের আইনজীবী এনিয়ে বেশি কথা বলতে বারণ করেছেন।

    যদিও মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ এনেছে। পুলিশের আরও দাবি, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে প্রতিবাদে সমস্যা তৈরি করার জন্য তাকে অর্থ প্রদান করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই পরিকল্পনার মূল মাথা ঘটনার সময় প্রতিবাদ আন্দোলনেও সেই সময় ছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ। এখন মূল পরিকল্পনাকারী কে? তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে দাবি করেছে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী এবিষয়ে জানান, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাপসের হেফাজতে চাওয়া হয়েছিল। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)