প্রতিবাদীদের একজন হয়ে থাকতে চাই,রাজ্যের পুরস্কার ফিরিয়ে বললেন নাট্যকার চন্দন সেন
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশে। সেই গণআন্দোলনে সামিল হতে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরালেন নাট্যকার চন্দন সেন। ২০১৭ সালে তাঁকে দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চন্দনবাবু।
পড়তে থাকুন - ‘প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি’, সন্দীপের গ্রেফতারির পর ইঙ্গিতবহ বার্তা শান্তনুর
চন্দনবাবু বলেন, ‘গতকাল শাসকদলের বিধায়ক যে ভাবে প্রতিবাদীরা পুরস্কার ফিরিয়ে দেবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাতে আমি অপমানিত বোধ করছি। আমি রাজ্য সরকারের দেওয়া দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সঙ্গে পুরস্কার হিসাবে পাওয়া ২৫ হাজার টাকাও ফিরিয়ে দেব। আমি প্রতিবাদীদের একজন হয়ে থাকতে চাই।’
গত বুধবার নবদ্বীপে চন্দনবাবুর রচিত নাটক চৈতন্য বিমঙ্গল মঞ্চায়ণে আপত্তি জানায় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুরপ্রধান। পুরপ্রধানের হুঁশিয়ারিতে শেষ বেলায় শো বাতিল করতে হয় উদ্যোক্তাদের। নবদ্বীপ পুরসভার প্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘এই নাটকে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে বৈষ্ণব সমাজের থেকে অভিযোগ এসেছে। নাটকে সচীমাতা মহাপ্রভূর স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়াকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছেন বলে দেখানো হয়েছে। যার কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই। এই নাটক মঞ্চস্থ হলে শহরে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই আমরা নাটক বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি।’
সূত্রের খবর, নাটকে একটি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে বলতে শোনা যায়, ‘ন্যায়বিচার ও অধিকারের দাবিতে হাজারো মানুষ একদিন রাস্তায় নামবে।’ রাজ্যজুড়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভের মধ্যে এই সংলাপ তৃণমূলের জন্য অস্বস্তিকর। তাই তারা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ায় বাধা দিয়েছে।
এর আগে রাজ্য সরকারের বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাহিত্যিক পরিমল দে।