• ‘রাতে মহিলারা কাজ করতেই পারেন’, স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী
    এই সময় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের পর ‘রাত্রি সাথী’ নামে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে রাজ্য। নতুন এই কর্মসূচিতে মহিলা কর্মীদের যতটা সম্ভব নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নারীর সমানাধিকারের দাবির ওপর আঘাত হানা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। তবে, রাতে মহিলারা চাইলে কাজ করতেই পারেন বলে মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নারী সুরক্ষার দাবি নিয়েই ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল মহিলাদের তরফে। সেখানে রাতে কেন মহিলাদের কাজের অধিকার থাকবে না? সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। সমালোচনা করা হয় ‘রাত্রি সাথী’ কর্মসূচির কয়েকটি বিষয় নিয়ে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে এই স্কিম এনেছি। রাতে কাজ করতে চাওয়া মেয়েরা কাজ করবে। কোনও অসুবিধা নেই। রাতে কেউ কাজ করলে তাঁদের পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে সরকার। সেই কারণেই রাত্রি সাথী করা হয়েছে। হাসপাতালগুলো, স্কুল, মিড ডে মিল কেন্দ্রগুলিকেও সঠিক পদক্ষেপ করতে জন্য বলা হয়েছে।' তবে, মহিলাদের ১২ ঘণ্টার বেশি যাতে ডিউটি না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারেও জানানো হয়।

    মঙ্গলবার বিধানসভায় পাস হয় ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’। এই বিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই উঠে আসে সরকারের নতুন ‘রাত্রি সাথী’ প্রসঙ্গের কথা। বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় এই প্রকল্পের কথা আসতেই শোরগোল শুরু করেন। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘কোনও কোনও মেডিক্যাল কলেজ এমন আছে যেগুলো নির্জন জায়গাতে। আমি করিনি। আগে থেকেই আছে। সেই জায়গাগুলোতে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছি। হেলথ সেক্রেটারির সঙ্গে কথা হয়েছে। সেজন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একটু সময় লাগবে। যেখানে রেস্ট রুম নেই সেখানে রেস্ট রুম করার কথা বলেছি।’

    আরজি কর কাণ্ডের পরেই ‘রাত্রি সাথী’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নারী সুরক্ষায় জোর দেওয়া হয় সরকারের তরফে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ‘রাত্রি সাথী’ একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হবে বলেও জানানো হয়। মহিলাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা জোন, মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত শৌচাগার, রেস্ট রুমের ব্যবস্থা-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)