আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর গোটা রাজ্য। মহিলাদের ‘রাত দখল’-এর তারিখ থেকে প্রতিবাদ শহর পেরিয়ে শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের একাংশেও হচ্ছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সব স্তরের মানুষকে। প্রতিবাদের ভাষা, স্থান, কাল, পাত্র আলাদা। এ বার সেই প্রতিবাদে সামিল হলেন ‘ক্লাউড কিচেন’-এর কর্ণধার শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য।গত কয়েকদিন আগেই রায়গঞ্জের এক চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশনে আরজি করের ঘটনার দোষীদের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। আর শুচিস্মিতার খাবারের বিলেও উঠে এল আরজি কর ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবি। ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য গত তিন বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করে আসছেন। দিনরাত এক করে মানুষের স্বাদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। ছ`বছর আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করার কাজ শুরু করেছিলেন। যার পোশাকি নাম, ‘ক্লাউড কিচেন’।
শহর ও শহরতলিতে দু’ধরনের ক্লাউড কিচেন রয়েছে। একটি সুইগি বা জোম্যাটোর মতো সংস্থার তত্ত্বাবধানে একাধিক কিচেন তৈরি করা হচ্ছে। নামী, অনামী সংস্থাগুলি সেখানেই নিজেদের রান্নার জায়গা রাখছে। অনলাইনে অর্ডার এলে ডেলিভারি কর্মীদের সেখান থেকে খাবার নিয়ে পৌঁছে দিতে হয়। আর একটি ‘ক্লাউড কিচেন’ হল বাড়ি থেকে তৈরি রান্না পৌঁছে দেওয়া। একে ‘হোম ক্লাউড কিচেন’-ও বলা হচ্ছে।
এরকমই একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শুচিস্মিতা। বিগত তিন বছর ধরে অনলাইনের ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। সম্প্রতি আরজি করের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য তথা দেশ। শুচিস্মিতাও এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেছেন। সব সময় সম্ভব হয়নি। শুচিস্মিতা বলছিলেন, ‘প্রতিবাদের অনেক ভাষা হয়। আমি যে হেতু এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, আমার মনে হয়েছে এ ভাবে প্রতিবাদ করতে পারি। আমার পক্ষে রাস্তায় নেমে সবসময় প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়। কিন্তু নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এই কাজ করা।’