• পুজোর শপিংয়ের ভিড় কম, খালি হচ্ছে না বিরিয়ানি হাঁড়িও, কলকাতার হল কী? 
    আজ তক | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • দুর্গাপুজোর ক'য়েকদিন আগে কলকাতার ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি হচ্ছেন ক্রমবর্ধমান লোকসানের। উৎসবের এই সময়ে যখন বাজার চাঙ্গা থাকার কথা, তখনই ক্রেতাদের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা, কমছে ভোজনরসিকদের আগমন। কারণ ট্র্যাফিক পরিস্থিতিও বিপর্যস্ত। এই অস্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন শহরের ব্যবসায়ীরা। যাদের বছরের বড় অংশের আয় নির্ভর করে এই দু'মাসের উপর।

    গড়িয়াহাটের একটি শাড়ির দোকান, যেখানে গত বছর এই সময়ে সপ্তাহান্তে ৪ লাখের ব্যবসা হত, এবার সেই বিক্রি নেমে এসেছে ১ লাখেরও কমে। একইভাবে নিউমার্কেটের একটি বিখ্যাত বিরিয়ানি দোকান, যা প্রতি বছর পুজোর সময় দিনে ১০০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি করত, এবার তা নেমে এসেছে মাত্র ৬০০ প্লেটে।

    ব্যবসার এই মন্দা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন গড়িয়াহাটের একটি বড় শাড়ির দোকানের মালিক। তিনি বলেন, 'কোভিড পরিস্থিতির থেকেও খারাপ সময় চলছে। এবার যা হচ্ছে, তা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ব্যবসায় আঘাত করছে। আরজি করের ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্গাপুজো বয়কট করাটা সমাধান নয়। আমার কর্মচারী-সহ অনেকেই এই সময়টিতে ব্যবসা থেকে আয় বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করেন।'

    শাড়ির ব্যবসায়ীরা যেমন সমস্যায় পড়েছেন, তেমনই বিপাকে পড়েছে খাদ্য ও পানীয় ক্ষেত্র। কলকাতার দুটি নামী রেস্তোরাঁর মালিক বলেন, 'বছরের এই সময়টিতে আমাদের সাধারণত অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পুজো বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না। ব্যবসা ৩০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।'

    এই সময় কলকাতার লোকজন পুজো মুডে থাকেন। কলকাতার একটি বড় বার কাম রেঁস্তোরা চেইনের মালিক বললেন, 'বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ গত ৮ থেকে ১০ দিন ধরে ৫০ শতাংশ লোকসানে চলছে। মানুষের মুডই ঠিক নেই।'

    পার্কস্ট্রিটের নামী পাবের মালিক বলেন, 'রবিবারের ডিনারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। অনেকেই এখন বাইরে খেতে যাওয়া, নতুন জিনিস কেনা কিংবা আনন্দ করার ব্যাপারে দোটানায় ভুগছেন।'

    শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বড় শপিং মলগুলোতেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লোকজন আসছে না। মালিক বললেন, 'পুজোর স্টক ভরপুর, কিন্তু ক্রেতা নেই। ভয় লাগছে।'

    নিউমার্কেটেও ক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। সেখানকার বড় মোগলাই রেস্টুরেন্টের মালিক বললেন, 'পুজোর সময় সাধারণত ১০০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়, কিন্তু এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০০ প্লেটে।'
     

     
  • Link to this news (আজ তক)