দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। আজ তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয় তারা সন্দীপ ঘোষকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চান। কারণ তাঁকে জেরা অনেক গোপন তথ্য উঠে আসবে। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ৪ জনকে যদি জেরা করা যায় তাহলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। আরও অনেককে গ্রেফতার করা যাবে। কারণ অপরাধের পরিধি অনেকটাই বড়। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন সবসময় তারা সিবিআইকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। প্রত্যেক দিনই সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে যেতেন। তাদের সহযোগিতা করে গিয়েছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। ওই সওয়াল জবাব শোনার পর সন্দীপ ঘোষ ও বাকী ৩ জনকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
টানা ১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। তার পরেই ঘোষণা করা হয় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে একটি হল বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার। পাশাপাশি আরজি করের মর্গে পড়ে থাকা সনাক্ত না হওয়া মরদেহ পাচারের অভিযোগও রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
এদিকে, আজ সন্দীপ ঘোষকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। আলিপুর আদালতে তাকে ঢোকানোর সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলা আইনজীবীরা। আর তাঁকে আদালতে থেকে বের করে আনার সময়ে উঠল চোর চোর স্লোগান। তার পরেই তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন একদল মানুষ। কেউ একজন পেছন থেকে সন্দীপের মাথায় থাপ্পড় মেরে দেন। পুলিস কোনও রকম তাঁকে আগলে গাড়িতে তোলে।