• 'এই আইন প্রতিহিংসামূলক, দেশের কোনও আদালতে এই আইন টিকবে না'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • পিনাকী ভট্টাচার্য

    রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া ধর্ষণ বিরোধী আইন দেশের কোনও আদালতে টিকবে না। এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী বিকাশবাবু বলেন, এই আইন ন্যায় বিচার দেওয়ার উদ্দেশে প্রণয়ন করা হয়নি। এই আইন প্রতিহিংসামূলক। এতে অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই।

    মঙ্গলবার সাঁঝবেলায় এক ফোনালাপে বিকাশবাবু হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের পরিপন্থী। ব্রিটিশরা আমাদের মুখ বন্ধ করার জন্য এদেশে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রণয়ন করেছিল। এখন ওরা নিজেদের দেশেও মৃত্যুদণ্ড দেয় না। ১৯৬৯ সাল থেকে ব্রিটেনে মৃত্যুদণ্ড অবলুপ্ত করা হয়েছে। অথচ ভারতীয় আইনকে ঔপনিবেশিক প্রভাবমুক্ত করার নামে বিজেপি এখনও মৃত্যুদণ্ডের সাজা রেখে দিয়েছে।’

    বিকাশবাবু বলেন, ‘আজ যে আইন পাশ হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক। দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের পরে সংসদে যে আইন পাশ হয়েছিল সেই আইন সঠিক ভাবে কার্যকর করা হলেই যথেষ্ট। ধর্ষণ ঘৃণ্যতম অপরাধ। কিন্তু যে কোনও অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। নইলে পুলিশ প্রশাসন যে কাউকে ধরে এনে মুখ খোলার আগেই তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। ওদিকে আসল দোষী বুক ফুলিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াবে।’

    তাঁর মতে, ‘আসলে আরজি করের ঘটনার পর যে জনরোষ তৈরি হয়েছে তা থেকে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ভাবে উনি ঘটনার পর দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তা থেকে নজর ঘোরাতে তিনি আইন প্রণয়নের নাটক করছেন। যাতে উনি পরবর্তী জনসভাগুলিতে গিয়ে বলতে পারেন, আমি তো আইন করে দিয়েছি।’

    বিকাশবাবু বলেন, ‘ভারতীয় বিচারব্যবস্থা প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়। আমাদের দেশের সংবিধান অনুসারে তখনই কারও মৃত্যুদণ্ড চাওয়া যেতে পারে যখন সে কাউকে হত্যা করেছে। তার বাইরে কোনও আইন প্রণয়ন হয়ে থাকলে দেশের কোনও আদালতে তা টিকবে না।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)