• সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ, সাসপেন্ড রূপান্তরকামী শিক্ষিকা, মামলা হাইকোর্টে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর আবহের মধ্যেই এক রূপান্তরকামী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে শামিল হওয়ায় ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে অবিলম্বে কলকাতা হাইকোর্ট পদক্ষেপ করতে বলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নতুন আপিল কমিটি গঠন করে দ্রুত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ আন্দোলন হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও ডিএ, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সরকারি কর্মীরা। মামলার বয়ান অনুযায়ী, সেই সমস্ত আন্দোলন সামিল হয়েছিলেন ওই রূপান্তরকারী শিক্ষিকা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার গনিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। আর তাঁর আন্দোলনে যোগ দেওয়ার বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে টার্গেট করা হয় বলে অভিযোগ। এর জন্য প্রায় ১৪ মাস আগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। 

    যদিও শিক্ষিকাকে কী কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে তার যথাযথ কারণ দেখাতে পারেনি পর্ষদ। এমনকী চার্জশিটেও যথাযথ কারণ উল্লেখ করা হয়নি। পরে কারণ জানতে চেয়ে উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তিনি। তখনই তিনি জানতে পারেন এই সব অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আপিল কমিটি থাকে। তবে আগে পর্ষদের অভ্যন্তরীণ আপিল কমিটি থাকলেও বর্তমানে সেই কমিটি আর নেই। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা।  আবেদনকারীর তরফে আইনজীবীরা আদালতে জানান, যে ধারায় ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত সাসপেন্ড করে রাখা যায়। কিন্তু, তিনি ১৪ মাস ধরে সাসপেন্ড রয়েছেন। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট নতুন আপিল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় পর্ষদকে। আদালতের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন আপিল কমিটি গঠন করে অভিযোগটির নিষ্পত্তি করতে হবে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)