• মার খেলেন সন্দীপ ঘোষ! একসময় ‘বাউন্সার নিয়ে ঘুরতেন’ RG করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আদালত থেকে বেরিয়েই মার খেলেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরে মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুর কোর্টে তোলা হয়। শুনানির শেষে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে যখন আদালত থেকে বের করা হচ্ছিল, তখন আশপাশে থিকথিকে ভিড় ছিল। মূলত সন্দীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। সেইসময় পিছন দিক থেকে এক ব্যক্তি চাঁটি মারেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তারপর তাঁকে গাড়িতে তুলে দেয় সিবিআই। যিনি একটা সময় বাউন্সার নিয়ে ঘুরতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে তাঁর আশপাশে কেউ ঘেঁষতে পারতেন না। একটা বলয় তৈরি করে রাখতেন।

    সোমবার সন্ধ্যার দিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুর কোর্টে পেশ করা হলে আটদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁর জামিনের আর্জি জানাননি সন্দীপের আইনজীবী। শুধুমাত্র সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ কমানোর আর্জি জানান। ১০ দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আলিপুর কোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয় যে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণের জন্য সন্দীপকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার আছে। যে কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খুবই স্পর্শকাতর। অপরাধের বিষয়ে আরও খুঁটিনাটি জানতে হবে। সংগ্রহ করতে হবে তথ্যপ্রমাণ। জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে।

    সোমবার সন্দীপ ছাড়াও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার দিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকে ধরা হয়। 

    সন্দীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সুমন। আর বিপ্লব এবং আফসার ছিলেন ভেন্ডর। তাঁরা দু'জন হাসপাতালে জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন বলে সূত্রের খবর। তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আপাতত কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)