• দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে বেহাল রাস্তায় যাত্রীদের ভোগান্তি
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢোকা ও বেরনোর প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা ডোবায় পরিণত হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার মুখে রাস্তার দু’পাশের জায়গা অবৈধভাবে দখল নিয়েছে প্রায় পাঁচটি সাইকেল স্ট্যান্ড। ওইসমস্ত সাইকেল স্ট্যান্ডে নেশার ঠেক সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলেও অভিযোগ। বাসস্ট্যান্ড চত্বরের অত্যন্ত বেহাল অবস্থা। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রী ও বাসচালকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন চত্বরের রাস্তা ও স্ট্যান্ড অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন যাত্রীরা। রাস্তা সহ বাসস্ট্যান্ড দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর রেলস্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ডে সরকারি ও বেসরকারি, টাউন সার্ভিস সহ প্রায় ৫০০টি বাস সারাদিন চলাচল করে। এখান থেকে রাজ্যের ভিন্নজেলার বাস চলাচল করে। শিল্পাঞ্চলে কর্মসূত্রে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই বাসস্ট্যান্ডে আসেন। অথচ বাসস্ট্যান্ডে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তা বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাটে জল জমে রয়েছে। কার্যত ডোবার আকার নিয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ তো আছেই, পাশাপাশি বাসচালক ও অটো চালকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মিনিবাস কর্মী শ্যামল পাল বলেন, শহরের অনান্য রাস্তাঘাট ভালো হলেও এই বাসস্ট্যান্ডের ঢোকার মুখে ও বেরনোর রাস্তা বেহাল। যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। আমাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। মিনিবাসের মালিক দেবব্রত দাস বলেন, শারীরিক ভোগান্তি তো আছেই। পাশাপাশি দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে এলাকা। রাস্তার জন্য বাসের অবস্থাও বেহাল হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।

    দুর্গাপুর মহকুমা বাস ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনন্দ রায় বলেন, প্রায় আট বছর আগে সংস্কার হয়েছিল। তার কয়েক বছর পর থেকেই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আমরা নিজেদের টাকা ব্যয় করে ছাই দিয়ে মেশিনের সাহায্যে খানাখন্দ ভরাট করি। আর সাইকেল স্ট্যান্ডগুলি অবৈধভাবে রাস্তার পাশে পার্কিং করছে। কিছু বলতে গেলেই বচসা হয়।

    ৪১নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা বলেন, বাসস্ট্যান্ডের সমস্যা নিয়ে পুরসভাকে জানানো হয়েছে। প্রায় ৯৮লক্ষ টাকা ব্যয় করে দ্রুত সংস্কার হবে। সাইকেল স্ট্যান্ডে মদ-গাঁজার ঠেক বসে। অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলে অভিযোগ আছে। পূর্তদপ্তরের অনেকটা জমি দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা চলানো হচ্ছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করছে বহিরাগতরা। সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। সাইকেল স্ট্যান্ডগুলিকে রাস্তার পাশ থেকে অবৈধ পার্কিং সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাইকেল স্ট্যান্ডের এক মালিক রামচন্দ্র রজক বলেন, আমাদের এখানে কোনও অসামাজিক কার্যকলাপ হয় না। পুলিস তাহলে পদক্ষেপ নিক। জমি নিয়ে আমাদের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বিবাদ চলছে। আদালতে মামলা চলছে। আমরা অবৈধভাবে স্ট্যান্ড করিনি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)