• পুরষায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সাফাই স্থানীয় যুবকদের, সাধুবাদ আধিকারিকের
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জমে থাকা নোংরা জঞ্জাল পরিষ্কার করলেন আফরোজ, সহেল, রফিকুলরা। ফেলে দেওয়া খাবারের প্যাকেট, ডাবের খোলা, মাটির ভাঁড়, আগাছা তুলে ফেলে দিলেন। মঙ্গলবার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গলসির পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমনই ছবি দেখা গেল। হাসপাতালের বিএমওএইচ পায়েল বিশ্বাস বলেন, ওঁরা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে এলাকার কয়েকজন যুবক এসে হাসপাতাল পরিষ্কারের প্রস্তাব দেন। ওঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। 

    জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত এই হাসপাতালের উপর গলসি ১ ব্লকের বাসিন্দারা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গলসি ২ ব্লক এবং আউশগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। তাছাড়া পানাগড় থেকে বর্ধমান পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে পুরষা হাসপাতালই একমাত্র ভরসা। ফলে ব্যাপক রোগীর চাপ থাকে হাসপাতালে। বহির্বিভাগে দৈনিক পাঁচশোরও বেশি রোগী আসেন। হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করলেও বেশকিছু জায়গায় জঞ্জাল জমেছিল। সেগুলি পরিষ্কার করতে এগিয়ে আসেন এলাকার বেশকিছু যুবক। এদিন পরিষ্কারের পর পুরষা গ্রামের যুবক আফরোজ মণ্ডল বলেন, এখন বর্ষার মরশুম চলছে। হাসপাতালের কিছু জায়গায় বর্ষার জমা জল রয়েছে। সেখান থেকে ডেঙ্গুর আশঙ্কা রয়েছে দেখে আমরা পরিষ্কারে নামি। ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জায়গাগুলি পরিষ্কার করেছি। স্থানীয় যুবক মীর নাসির বলেন, বেশ কিছু জায়গায় আগাছা দেখছিলাম। সেখানে আগাছানাশক ওষুধ স্প্রে করেছি। সাফাই অভিযানে অংশগ্রহণকারী যুবক সাহেব মণ্ডল জানান, হাসপাতালে একটি পুকুর আছে। তার চারদিকে পার্থেনিয়াম গাছ জন্মেছিল। সেগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। ড্রেনগুলিও জঞ্জালমুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, হাসপাতাল পরিষ্কার করার জন্য যুবকরা মঙ্গলবার সকালেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে আসেন। তারপর এক একজন হাসপাতালের এক একটি অংশ চিহ্নিত করে পরিষ্কারের কাজে লেগে যান। 

    হাসপাতাল থেকে ব্লিচিং পাউডার সহ কিছু সামগ্রীও দেওয়া হয়। কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হল? এলাকার যুবকদের একটিই বক্তব্য, এই হাসপাতাল আমাদের, তাই পরিষ্কারের দায়িত্বও আমাদের। তাঁরা জানান, কীটনাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ছয় থেকে সাতদিন পর আবার এসে পরিষ্কার করব।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)