• পারবেলিয়া সরস্বতী ক্লাবের গণেশ পুজোয় এ বছর রাজস্থানের মন্দির
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: শরৎ মানেই পুজোর মাস। আর নিতুড়িয়ায় সেই শুরুটা হয় গণেশের পুজোর মধ্য দিয়েই। নিতুড়িয়া ব্লকের পারবেলিয়া সরস্বতী ক্লাবের সদস্যরা ২৬ তম বর্ষে মেগা গণেশ পুজোর আয়োজন করছেন। হাতেগোনা আর দু’দিন বাকি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। পারবেলিয়া ইসিএল মাঠে রাজস্থানের প্রসিদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা স্টল সাজাচ্ছেন। 

    নিতুড়িয়া ব্লকের পারবেলিয়া হিন্দি ভাষীদের এলাকা। পারবেলিয়া ও দুব্বেশ্বরীতে দু’টি কোলিয়ারি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে কর্মরত রয়েছেন। এলাকায় গণেশপুজো করার জন্য তৎকালীন নিতুড়িয়া ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি শশীভূষণ প্রসাদ যাদব উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১৯৯৮-’৯৯ সালে ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে নিতুড়িয়ায় গণেশ পুজার সূচনা করেন। মহাসমারোহে শুরু হয় পুজো। ২০১০ সালের ২৯ মার্চ শশীভূষণবাবুকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর থেকে শশীভূষণবাবুর তৈরি করা ক্লাবের সদস্যরা সেই পুজো করে আসছেন। বর্তমানে এই পুজো জেলার সবচেয়ে বড় পুজো। পুজো দেখতে জেলার মানুষ ছাড়াও বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও বহু মানুষ আসেন। এবছর ১০ দিন ধরে পুজো চলবে। পুজো উপলক্ষ্যে মাঠে মেলা বসছে। ক্লাবের সভাপতি মৃদুল সরকার বলেন, ২৬ তম বর্ষে আমাদের পুজো মণ্ডপ রাজস্থানের মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা।

    পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় যাদব বলেন, পুজো উপলক্ষ্যে এবারও মেলা বসেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবি-সাহিত্যিক সভা, রক্তদান, চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হবে। মণ্ডপ দেখার ক্ষেত্রে কেউ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    পুজো কমিটির কনভেনার তথা নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর পুজোর উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনে বাঁকুড়ার সাংসদ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আসবেন। ক্লাবের সদস্য সন্তোষ সিং, মতিলাল মণ্ডল, জিতেন গোপ বলেন, এই পুজোয় সকলে শামিল হয়। খুবই আনন্দ করে কয়েকটা দিন কাটে। এবারও বহু মানুষ আমাদের মণ্ডপ দেখার জন্য ভিড় করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)