• দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স, মৃত্যু রোগীর 
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রোগী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় মৃত্যু হল ভিতরে থাকা রোগীর। গুরুতর জখম রোগীর পরিজনরা। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়ে রানাঘাট থেকে কিছুটা দূরে ঘাটিগাচার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত রোগী ও তাঁর পরিজনরা সকলেই মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। 

    মৃত রোগীর নাম নবাব মোমিন (৫০)। তিনি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ জয়কৃষ্ণপুরের প্রতাপগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দা। সোমবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তখন ওই রোগীকে কলকাতার হাসপাতলে রেফার করে কর্তৃপক্ষ। রাত প্রায় ৩টে নাগাদ একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নবাব মোমিনকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর পরিজনরা। অ্যাম্বুলেন্সে ওই প্রৌঢ় ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী তাজকিরা বিবি, শালিকা মাগফুরা খাতুন, ছেলে মিস্টার মোমিন এবং আত্মীয় কামাল হোসেন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানাঘাট পার করার পর ঘাটিগাচার কাছে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কলকাতাগামী বাসের পিছনে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। ধাক্কার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগী নবাব মোমিনের অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। জখম হয়ে রাস্তায় ছটফট করতে থাকেন বাকি সদস্যরা। ততক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানাঘাট থানার পুলিস। তারা আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নবাব মোমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি পরিজনদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও মাগফুরা খাতুন এবং অ্যাম্বুলেন্সটির চালকের আঘাত গুরুতর। আপাতত তাঁরা রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোমরে, ঘাড়ে এবং হাতে আঘাত রয়েছে তাঁদের। মৃত ব্যক্তির আত্মীয় মোহাম্মদ আশিকুল মোমিন বলেন, আমরা খবর পাই সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটি গাড়ি ভাড়া করে রানাঘাট চলে আসি। ততক্ষণে নবাব মোমিনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। একজন অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে এই ধরনের দুর্ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)