• রেলের লক্ষ্মীলাভ, একদিনে ১০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বলরাম দত্তবণিক, রামপুরহাট: কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে টিকিট বিক্রি করে এবার লক্ষ্মীলাভ হল রেলের। এই মেগা উৎসবে তারাপীঠ আসার জন্য একদিনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। গতবারের থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা বেশি। অন্যদিকে এই তিথিতে দু’দিনে আড়াই কোটির বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে তারাপীঠে। পাশাপাশি ব্যাপক ভক্ত সমাগমে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে হোটেল ও লজ ব্যবসায়ীদের।

    হাওড়া ও শিয়ালদহ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে রামপুরহাটে আসার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। গত সাত বছর ধরে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে হাওড়া-রামপুরহাট জংশন স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। এবার তীর্থযাত্রীদের জন্য রবিবার থেকে মঙ্গলবার হাওড়া ও রামপুরহাটের মধ্যে একটি অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চলাচল করেছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের সুবিধার্থে রামপুরহাট জংশনে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারও খোলা হয়েছিল। পানীয় জল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পূর্ব রেলের তরফ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবছর তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে রামপুরহাট জংশনে ভক্তদের ভিড় বেশি হয়েছিল, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। সোমবার ইউটিএস কাউন্টারগুলি থেকে ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ২৪.৪৩ শতাংশ বেশি। গতবছর কৌশিকী অমাবস্যার প্রথম দিনে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। 

    পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যায় ভিড়ের প্রত্যাশায় যাত্রীদের সুবিধার জন্য রামপুরহাট স্টেশনে পাঁচটি অতিরিক্ত ইউটিএস টিকিট বুকিং কাউন্টার খোলা হয়েছিল। স্টেশনে যাত্রীদের চিকিৎসা সহায়তায় বুথ খোলা হয়েছিল। যদিও মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দাবি মতো হাওড়ার পাশাপাশি শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি ও দেওঘর থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানো হলে রেলের আয় যেমন বাড়ত, তেমনই তারাপীঠে আরও ভিড় হতো। 

    অন্যদিকে কৌশিকী তিথি উপলক্ষ্যে রবিবার রাত থেকেই ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করে বামাখ্যাপার সাধনাস্থলে। সোমবার রাত পর্যন্ত ভিড়ের রেকর্ড অন্যান্য বছরকে ছাপিয়ে যায়। তাতেই ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ হয়েছে আবগারি দপ্তরেরও। রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে তারাপীঠের বেসিক মোড় পর্যন্ত ২৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান সারারাত খুলে রাখা হয়েছিল। আবগারি দপ্তরের রামপুরহাট মহকুমা ডেপুটি কালেক্টর পার্থ ঘোষ বলেন,  সবক’টি কাউন্টার মিলিয়ে রবি ও সোমবার পর্যন্ত মদ বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার। তার মধ্যে সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে সোমবার রাতে। রবিবার ৭৬ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।

    এদিকে ব্যাপক ভক্ত সমাগমে খুশি হোটেল ও লজ ব্যবসায়ীরা। লজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, আমরা যা আশা করেছিলাম, তারচেয়েও বেশি ভিড় হয়েছে। এবছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)